পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহসিন রাজু, বগুড়া অফিস : দুগ্ধ খামারীদের জন্য পুন:অর্থায়ন কর্মসূচী চালুর পাশাপাশি জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন নীতিমালার খসড়া হচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালায় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় দুগ্ধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এই খসড়ার আওতায় ১৯৯৭ সালে সারাদেশে উন্নতজাতের গবাদী পশুর ভ্রæণ স্থাপন অর্থাৎ প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে অবৈতনিক এআই টেকনিশিয়ান হিসেবে নিয়োগকৃত ২ হাজার ৭শ’ জন কর্মীর নিয়োগ স্থায়ী করার ব্যবস্থা না থাকায় ওই সব সেচ্ছাসেবিদের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশার অন্ধকার। সে কারণে ওইসব সেচ্ছাসেবিদের সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার সারাদেশে এক যোগে স্ব-স্ব জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধাণমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, চাহিদা সারাদেশে প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ মে: টন দুগ্ধ চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে দুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি বছর ৫০ লাখ মে: টন। দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতার পর এবার দেশকে দুধেও স্বয়ং সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বিশেষ একটি পুন:অর্থায়ন কর্মসূচী চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, এই কর্মসূচীর আওতায় দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ২শ’ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য দেড়যুগ আগে নিয়োগকৃত কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ায় কর্মরত মাঠ পর্যায়ের এ,আই টেকনিশিয়ানদের (সাবেক স্বেচ্ছাসেবী) বিষয়ে সুপরিকল্পিত কোন সিদ্ধান্ত আছে কিনা তা’ জানা যায়নি। বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ স্বেচ্ছাসেবী সমিতির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে মপ্রাম/প্রাস-১(সমিতি)-৩৯/২০০৫/১৬১৮ স্মারকে মহাপরিচালক, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সড়ক, ঢাকা কে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় কর্মরত সেবা কর্মী-স্বেচ্ছাসেবীদের এফ.এ (এ/আই) পদে নিয়োগের অথবা আত্মীকরণ বা সম্মানজনক ভাতা প্রদানের প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রসঙ্গে সিনিয়র সহকারী সচিব (স্মৃতি কর্মকর ) এর স্বাক্ষরিতপত্রে পরবর্তী অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি।
ওই স্বেচ্ছাসেবীরা দুই থেকে ১৮ বছর যাবৎ বেতন ভাতাহীন অবস্থায় এখাতের উন্নয়নে সরকারের কর্মসূচী বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী থেকে মাসিক ৫শ’ টাকা ভাতা দেয়া শুরু করেছে বর্তমান সরকার। জীবনের সর্ণালী দিনগুলো উৎসর্গ করে দেশের গো সম্পদের জাত উন্নয়ন ও উৎপাদন বেড়েছে যাদের মেধা ও শ্রমের ছোঁয়ায় তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকারের একটি নির্বাহী আদেশই যথেষ্ট বলে মনে করে সচেতন মহল।
দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুন:অর্থায়ন স্কীম পরিচালনার নীতিমালা ২০১৫ সালের ২ জুন ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ। জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাণি সম্পদ উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগ সারা বছর খাদ্য বা প্রাণিজ আমিষের যোগানদাতার ভূমিকার পাশাপাশি কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানোর চেষ্টা সফলভাবে পালন করে যাচ্ছে। আর এ সফলতার প্রক্রিয়ার প্রথম দাবীদার পশু সম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে জেলা কৃত্রিম প্রজনন অফিসের আওতাধীন কর্মরত ২ হাজার ৭শ’ এ. আই টেকনিশিয়ান (সাবেক স্বেচ্ছাসেবী) কর্মীগণ। শুধু কোরবানিতেই জবাই হয় এক থেকে দেড় কোটি পশু। সারা বছর মাংসের চাহিদা পূরণের এ বিপুল পরিমাণ পশুর বর্জ্যরে দ্বারা জৈব সার ও বায়োগ্যাস উৎপাদনে চেষ্টা শুরু করেছে অনেকে যা প্রতিদ্ব›িদ্বতা ও প্রতিযোগিতপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকতে এবং দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধশীল ও জ্বালানি সম্পদে ঘাটতি পূরণে সহায়তাকরণসহ দেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ,আই টেকনিশিয়ানদেরও ভূমিকা রয়েছে। দেশে দুধের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে রয়ে যাবে, দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে, যদি দেশে উন্নত জাতের গাভীর অভাব পূরণ করতে পারি আমরা। খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছে এখাতে বা শিল্পে সরকার যা করছে তা প্রশংসনীয়। এখাতকে আরও দ্রæত এগিয়ে নিতে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম ও ভ্রæণ হস্তান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগকৃত জনবলকে যুগপোযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে নিয়োগ দান করলে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে ও ২ হাজার ৭শ’ পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। ২০১০ সাল থেকে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতনভাতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আশা পূরণ হবে এ.আই টেকনিশিয়ান কর্মীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।