Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শেখ হাসিনা সভাপতি কাদের সা. সম্পাদক

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৬ সমাপ্ত

প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬

তারেক সালমান : সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে শেখ হাসিনা পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির চমক হিসেবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের
গতকাল রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দুইদিনব্যাপী দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন শেষে কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮ম বারের মতো শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। দলের দ্বিতীয় সাংগঠনিক পদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নতুন কমিটির সভাপতিম-লীর সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঘোষিত কমিটিতে ১৯জন সভাপতিম-লীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ৮১জন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও ১৮০ জন দলের জাতীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
গতকাল রবিবার বিকালে সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম এবং বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এই প্রস্তাব সমর্থন করলে উপস্থিত কাউন্সিলররাও তাতে সমর্থন করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। রবিবার বিকাল পৌনে ৫টায় মধ্যাহ্ন বিরতির পর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচন কমিশনের হাতে দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয়। বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে মঞ্চ থেকে নেমে কাউন্সিলর সারিতে বসেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এ সময় নতুন নেতা নির্বাচিত করতে এডভোকেট ইউসুফ হুমায়ুনের নেতৃত্বে মঞ্চে উঠেন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের অপর দু’জন হলেন ড. মশিউর রহমান ও রাশেদুল আলম।
কাউন্সিল অধিবেশনের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। এরপর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তব্য দেন ২৭ জন জেলার নেতা। সব মিলিয়ে ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪১টি জেলার নেতা বক্তব্য দিয়েছেন। দুপুর সোয়া একটায় সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দেন শেখ হাসিনা। মুলতবি অধিবেশনে বক্তব্য দেন আরও ৮ জেলার নেতা। কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য দলের নতুন নেতৃত্ব ঠিক করা হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ১১ টি দেশের ৫৫ জন বিদেশি অতিথিও উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী ভাষণে কাউন্সিলরদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা বলেছেন, আজীবন আমাকে নেতৃত্ব দিতে। এটা সম্ভব নয়। আমি তো মনে করি, আপনারা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পূরণ করেছি।
তিনি বলেন, দলকে দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় এনেছি। তিনবার সরকার গঠন করেছি, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। আপনারা আমাকে সম্মান দিয়েছেন। আমি মনে করি, আমার কাজ শেষ। তবে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার এ বক্তব্যে উপস্থিত কাউন্সিলররা সমস্বরে ‘না-না-না’ বলতে থাকেন।
এদিকে, সম্মেলনের কয়েকদিন আগে থেকেই যে গুঞ্জন চলছিল, ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সে গুঞ্জন সত্যিতে পরিণত হল। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার শেখ হাসিনার দেখা স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে তার সঙ্গী হলেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
রবিবার ক্ষমতাসীন দলটির কাউন্সিল অধিবেশনের শেষ পর্বে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন হয়। দুটি পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম প্রস্তাব না আসায় কাউন্সিলের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশনের প্রধান এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন দু’জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে শেখ হাসিনা বারবার আহ্বান জানিয়ে এলেও নির্বাচনী অধিবেশনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নামই সভাপতি পদের জন্য প্রস্তাব করেন প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার এ প্রস্তাব সমর্থন করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এরপর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করলে তা সমর্থন করেন বিদায়ী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এরপর সভাপতিম-লী গঠন করা হয়। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্থান হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষদে। সভাপতিম-লীতে তার পাশাপাশি নতুন এসেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আবদুল মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেন ও পীযূষ ভট্টাচার্য (যশোর)।
সভাপতিম-লীতে পুরনোদের মধ্যে থাকছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, পুরনো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে নতুন করে এ পদে যোগ হয়েছেন আব্দুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ পদে এনএইচ আশিকুর রহমানই আবারও থাকছেন নতুন কমিটিতে।
২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত জরুরি অবস্থার দুঃসময়ে দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফের উপর ভরসা রেখে তাকে মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে এনেছিলেন শেখ হাসিনা
দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে সহজে পান না বলে অভিযোগের মধ্যেও বিএনপি জোটের বিগত আন্দোলন পেরিয়ে নির্বাচন করার দক্ষতায় তার উপর ভরসা রাখেন শেখ হাসিনা। তবে গত বছর আকস্মিকভাবে আশরাফকে মন্ত্রী সভায় দপ্তরছাড়া করার পর সেই ভরসায় চিড় ধরার ইঙ্গিত মিললেও সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও তাকে মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভুক্ত করেন শেখ হাসিনা
এবার কাউন্সিলের কয়েকদিন আগে থেকে গুঞ্জন ছড়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের। সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের তার ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, নেত্রী তাকে ‘প্রস্তুত’ থাকতে বলেছেন। দায়িত্ব গ্রহণে গ্রীণ সিগনাল দিয়েছেন। তবে নেতৃত্বে কী হবে, সে বিষয়ে মুখ খুলছিলেন না কেউই। এর মধ্যেই সৈয়দ আশরাফ বলেন, নেতৃত্বে কে আসবে, তা শুধু শেখ হাসিনা ও তিনিই জানেন। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দৃশ্যত দলে শেখ হাসিনার কাছে নিজের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। কাউন্সিলে তিনিই নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। এজন্য কাউন্সিলে আশরাফকে ধন্যবাদও জানান শেখ হাসিনা
এদিকে, এর আগে শনিবার প্রথম অধিবেশন সকালে ও বিকালে দু’বারের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যে নতুন সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে যেমন আলোচনায় নতুন মোড় নেয়, তেমনি ধোঁয়াশাও তৈরি করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও কাউন্সিলর ডেলিগেটদের মধ্যে। অনেককেই বলতে শোনা গেছে, আশরাফ ও কাদের কেউ নন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পদে আসছেন তৃতীয় কোনো নেতা। সেখানে কারও কারও মুখে শোনা গেছে, তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নামও। নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করে আছেন দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনের দিকে। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গুঞ্জন উঠে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে নেতৃত্বে থাকছেন আশরাফই। আবার অনেকেই এ গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে আওয়াজ তোলেন শেষ হাসি হাসবেন শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সৈনিক সড়ক-পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরই। তিনিই সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে ছুটোছুটি করে ব্যাপক আলোচিত ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাওয়ায় দল আরও শক্তিশালী হবে বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬৪ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করেন। এরপরই জড়িয়ে ধরেন সৈয়দ আশরাফকে।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর বিরূপ সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ওবায়দুল কাদের ডাকসুতে ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রজীবন শেষে দৈনিক বাংলার বাণীতে কাজ করেন।
গত কাউন্সিলে সভাপতিম-লীতে আসার আগে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার থাকাকালে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও নিয়ে সমালোচিত হন ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনস্থল থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সৈয়দ আশরাফকে জড়িয়ে ধরেন শেখ হাসিনা। আশরাফও এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন।
শেখ হাসিনা তার আগে কাউন্সিলে বলেন, আশরাফুলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো। শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে সে সংগঠন ও দেশকে ভালবেসেছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেছে, ধন্যবাদ জানাই। আশা করি সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
এবার কাউন্সিলের কিছু দিন আগে থেকে দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন ৭০ বছরে পা দেয়া শেখ হাসিনা। কাউন্সিলেও কয়েকবারই নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়ার কথা বলেছিলেন ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা। তবে যতবারই তিনি একথা বলেছেন, ততবারই কাউন্সিলর ও নেতারা ‘না না’ বলে সরব হয়েছিলেন।
২০তম কাউন্সিলে আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা আবারও পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক করার তাগিদ দেন নেতাদের। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও সংগঠনের দায়িত্ব পালন যে কঠিন, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, যে গুরু দায়িত্ব আপনারা আমাকে দিয়েছেন, তা বহন করব। ৩৫ বছর একটা দলের সভাপতি, তবে একটা সময় আমাকে বিদায় নিতে হবে।
এবার প্রথম আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেয়া প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নেতৃত্বে চেয়ে দাবি তোলেন তৃণমূল নেতারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই ছেলে তা নাকচ করে বলেন, বিদেশে থেকে দলীয় পদ রাখতে চান না তিনি।
বিদেশে থাকাকালে নিজের অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালের সম্মেলনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২, ২০০৯ ও ২০১২ সালে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। এবার নিয়ে শেখ হাসিনা ৮ম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানা ৪ বার দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ৪ বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সময়ে বঙ্গবন্ধু দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদটি পান। এছাড়া অন্যান্য সভাপতির মধ্যে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ৪ বার, এইএচএম কামারুজ্জামান ২বার এবং মাওলানা আব্দুর রশীদ তকর্বাগীশ ও আব্দুল মালেক একবার করে সভাপতি নির্বাচিত হন।
এদিকে সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া জিল্লুর রহমান ৫ বার, তাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২ বার এবং শামসুল হক, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আবদুল জলিল একবার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের এবার প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেখ হাসিনা সভাপতি কাদের সা. সম্পাদক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ