পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে, ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে। ইয়াহিয়ার এডিসি স্কোয়াড্রন লিডার আরশাদ সামি খাঁ তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ফোনটা দেন।
নিক্সন এ সময়ই ইয়াহিয়াকে সাহায্য করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সপ্তম বহর পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিলেন এডিসি আরশাদ। সাক্ষাৎকারে আরশাদ সামি খাঁ বলেন, ১৩ ডিসেম্বর রাত প্রায় দুইটার সময় প্রেসিডেন্ট ভবনের টেলিফোন অপারেটর আমাকে জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন ফোন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই কথা শুনেই আমি সঙ্গে সঙ্গে জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। টেলিফোন লাইনটা খুব খারাপ ছিল। জেনারেল আমাকে ঘুম জড়ানো গলায় বলেছিলেন, আমি যেন অন্য টেলিফোনে সব কথা শুনি। লাইন যদি কেটে যায় তাহলে আমিই যেন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাই।
আরশাদ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কথার মূল বিষয়টা ছিল, তিনি পাকিস্তানের সুরক্ষার জন্য খুবই চিন্তিত আর তাই সাহায্যের জন্য সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা করিয়ে দিয়েছেন। নিক্সনের ফোন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেনারেল ইয়াহিয়া আমাকে বললেন, জেনারেল হামিদকে ফোন কর।
হামিদ ফোনটা ধরতেই ইয়াহিয়া প্রায় চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ ডান ইট। আমেরিকানস আর অন দেয়ার ওয়ে’ (আমরা পেরেছি। মার্কিনরা এগিয়ে আসছে।), বলেছেন আরশাদ। কিন্তু মার্কিন সপ্তম নৌবহর আসেনি। তিন দিন পরই দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের বিজয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।