Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি

যাত্রীর চাপ বাড়ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সংস্কার কাজের জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে। এই পরিস্থিতি চলবে আগামী ছয় মাস। তবে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রথম দিনই কাউন্টারে যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল। শুধু তাই নয়, যাত্রীর চাপে নিজেদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন না হওয়ায় অনেকেই হইহুল্লোড় করেন। গতকাল শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নতুন হাইস্পিড কানেকটিং ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ থাকবে। এছাড়াও ১১ মার্চ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বেবিচক। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটে চাপ বেশি ছিল। একই সাথে যাত্রীদের চাপও ছিল বেশি। এ কারণে অধিকাংশ যাত্রীর ইমিগ্রেশন যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তাই নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ছাড়া সম্ভব হয়নি।
বিদেশি এয়ারলাইন্সের এয়ারপোর্ট প্রতিনিধিরা জানান, যথাসময়ে ইমিগ্রেশনের কাজসম্পন্ন না হওয়ায় বিমানবন্দরে যাত্রীরা হইহুল্লোড় ও চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এ সময় সউদী এয়ারলাইন্সের রিয়াদ ও জেদ্দাগামী, অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী, তার্কিশ এয়ারলাইন্স ইস্তাম্বুলগামী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রিয়াদগামী, বিমান বাংলাদেশ ও মালিন্দো এয়ারওয়েজের কুয়ালালামপুরগামী, বিমানের আবুধাবিগামী ও কুয়েত এয়ারের কুয়েত সিটিগামী ফ্লাইট উঠানামা করে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিদেশগামীদের জন্য বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে মোট তিনটি গেটে ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে মোট চার হাজার মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী চলাচল করেন। এই তিনটি ইমিগ্রেশন গেট চার হাজার যাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে দুটি গেটের কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলে। একটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। যে দুটি গেট খোলা, সে দুটোর অনেক কাউন্টারেও ইমিগ্রেশন অফিসার ছিলেন না। সব মিলে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তাই গত বৃহস্পতিবার রাতে রানওয়ে বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন ২৭টি এয়ারলাইন্সের ৮৫ থেকে ৯০টি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটে গড়ে ১০ হাজার যাত্রী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকায় রাত ও ভোরের সময়সূচি আগে-পরে করে দিনে আনা হয়েছে। এতে যাত্রী ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনায় চাপ পড়বে।
অপরদিকে, রাত ও ভোরের ফ্লাইট দিনের সময়ে চলে আসায় বিমানবন্দরে যাত্রীদের ট্রলির সঙ্কট দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরেও বিমানবন্দরে ট্রলি ফাঁকা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এতে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীসেবার জন্য বিমানবন্দরে প্রায় ২ হাজার ২০০টি ট্রলি আছে। এর মধ্যে ১ হাজার ট্রলি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। যাত্রীরা যারা ট্রলি নিচ্ছেন, কয়েক ঘণ্টা সেগুলো দখল করে রাখছেন। যাত্রীর চাপ বাড়ায় সমস্যাটি বেশি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ