পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে আজ শুক্রবার দেশটির মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে। “মন্ত্রি পরিষদের বৈঠকে সম্মত হয়েছে যে বিদেশী কর্মী নিয়োগ সব সেক্টরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিদেশী কর্মীদের নিয়োগের জন্য যেসব খাতগুলো উন্মুক্ত থাকবে যেগুলো বৃক্ষরোপণ, কৃষি, যত্রাংশ উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মী চাকর। মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানন গতকাল ঘোষণা দেন, বিদেশী কর্মী নিয়োগ সব সেক্টরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের সাথে সাথে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটকে নিয়ে সামনে নিয়ে এম সারাভানান বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের কেউ যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হন বা তাদের থেকে যেনো তা ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করবো। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে আমরা একটি স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রডিউসার (এসওপি) করবো, সে মোতাবেক কাজ করবো।’
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক সই করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়ার সরকার সমঝোতা স্মারক সইয়ের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে সমঝোতা স্মারকের খসড়ায় ৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত মতামত এসেছে।’ আমাদের চুক্তির স্বাক্ষরের পরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের এখানে নিয়োগ করা যাবে।’
আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে সম্মত হয়েছে যে বহু-স্তরীয় লেভি (মাল্টি-টায়ার লেভি) বাস্তবায়ন ১ জানুয়ারী ২০২২ থেকে ১ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত স্থগিত করা হবে যাতে নিয়োগকারীদের বোঝা না হয়।" কুয়ালালামপুর থেকে প্রবাসী সাংবাদিক এম এ আবির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে পাঁচ বছর আলোচনার পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করে মালয়েশিয়া। তবে বহুল আলোচিত জিটুজি প্লাস নামের চুক্তির একদিন পরেই স্থগিত করে মালয়েশিয়া। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ২০১৭ সালের শুরুতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। দুই বছরে প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী যায় দেশটিতে। মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর কাজ পেয়েছিলো। জিটুজি প্লাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এ অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহথির মুহাম্মদ ক্ষমতায় ফিরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।