পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা-পরবর্তী সময়ে গভীর সঙ্কটে পড়ে গেছে দেশের সংবাদপত্র শিল্প। গার্মেন্টস, ক্ষুদ্র শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প টিকিয়ে রাখতে আর্থিক প্রণোদনা, স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা, ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানো, কাঁচামালের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই শিল্পগুলো কারোনা-পরবর্তী সময়ে আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অথচ করোনাকালীন এবং করোনা-পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র শিল্পে এ ধরনের কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি। এমনকি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংবাদপত্রের পাওয়া বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল আটকে দেয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রচেষ্টা এবং মন্ত্রিপরিষদের বকেয়া বিল পরিশোধের নির্দেশনার পরও অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রে ছাপা বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না। করোনাভাইরাসের দুঃসময়ে সব শিল্পে আর্থিক সহায়তা ও ঋণ সুবিধা দেয়া হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় কেন সংবাদপত্র শিল্পের বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধে অর্থ ছাড় করছে না তা রহস্যজনক।
সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল না পাওয়ায় ক্রমান্বয়ে খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে সংবাদপত্র নামের সেবাশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। কয়েক লাখ লোকের কর্ম সংস্থান করা এই সেবাশিল্পকে সচল রাখতে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গত এক বছরে অসংখ্যবার দেনদরবার করেছেন; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আন্তরিকতার সঙ্গে বকেয়া বিল পরিশোধের সুপারিশ করেছেন; তারপরও বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধের ব্যবস্থা হয়নি। ফলে এই শিল্পে কর্মরত কয়েক হাজার সাংবাদিক ছাড়াও কয়েক লাখ শ্রমজীবী সংবাদকর্মী অবর্ণনীয় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গেছেন।
গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। শ্রম আইন অনুসারে সংবাদপত্র একটা শিল্প। ২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে সেবাশিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেবাশিল্প হিসেবে গণমাধ্যম বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক আর নার্সরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করেছেন; তেমনি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের মানুষকে সচেতন করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছেন। করোনাভাইরাসের দুর্যোগে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করায় কয়েকজন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ অন্যান্য শিল্পে কর্মরতদের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সরকার নানান উদ্যোগ নিলেও সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরতদের ঘুরে দাঁড়াতে ইতিবাচক কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখছেন; কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলরা সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরতদের নিয়ে উদাসীন।
সংবাদপত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের উচিত সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানো, কাঁচামাল সহজলভ্য করা, অল্প সুদে ঋণসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়া। তবে এ মুহূর্তে সরকার ঋণ সুবিধা ও প্রণোদনা সুবিধা না দিলেও অন্তত সরকারের ঘরে পড়ে থাকা বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ করে সংবাদপত্রে কর্মরতদের সহায়তা করা উচিত। বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল তাদের প্রাপ্য। সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক অনুদানের সহায়তার চেয়ে শিল্পকে বাঁচাতে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিলগুলো ছাড় করানো উচিত।
গত মঙ্গলবার দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। ‘দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, সরকারের নীতি সহায়তা না থাকা এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সংবাদপত্র দিন দিন রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। কেন রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে? তার কারণ কাগজের উচ্চ মূল্য। কাগজের দাম ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে। একটি সংবাদপত্রের কপিতে খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। বিক্রি থেকে পত্রিকা মালিকরা পাচ্ছেন মাত্র সাড়ে ৬ টাকা। বাকি টাকা হকার পাচ্ছেন। সংবাদপত্র চালানোর বাকি টাকা আসে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। করোনার কারণে দুই-আড়াই বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ গেছে। অথচ এখনো সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল ছাড় দেয়া হচ্ছে না। করোনার কারণে সবগুলো শিল্প কম-বেশি সহায়তা পেয়েছে। সংবাদপত্র শিল্প পাইনি। কেন পায়নি সেটা রহস্য।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সংবাদপত্র শিল্পকে প্রণোদনা সহায়তা ও ঋণ সুবিধার দাবি জানানো হয়। তা না হলে এখন অন্তত বকেয়া বিলগুলো পরিশোধ করে এই শিল্পকে সহায়তার প্রস্তাব করা হয়।
সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে এবং বিগত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আগে নোয়াব বিভিন্ন সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধে অনুরোধ জানান। সংবাদপত্রের কয়েকজন সম্পাদক সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে সংবাদপত্র শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠির পাশাপাশি আন্তরিকভাবে চেষ্টাও করেন। এমনকি সংবাদপত্রের পাওনা বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সকল সচিবকে ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বকেয়া বিল পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন গণমাধ্যম সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ বিল পায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় অনেক বিল জমা হয়ে গেছে। এ সময় জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম সেক্টরের আর্থিক কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান যেন তাদের কাছে বকেয়া থাকা পত্রিকা ও অন্যান্য সকল গণমাধ্যমের বিল পরিশোধ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।’ কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ সঙ্কটের কোনো সুরাহা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না।
সেবাশিল্প সংবাদপত্রকে টিকিয়ে রাখতে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পের আর্থিক সঙ্কট নিরসনে সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে দেন-দরবার করছেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের এদিকে যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
সংবাদপত্র শিল্পে সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী-হকার, মুদ্রণ শ্রমিকসহ কয়েক লাখ লোক কাজ করেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সংবাদপত্র বিক্রির সংখ্যা কমে গেছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় বিজ্ঞাপনও কম। সংবাদপত্রের এখন অধিক নির্ভরতা সরকারি বিজ্ঞাপনে। অথচ সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল সময়মতো পরিশোধ করা হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোতে ছাপানো সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল এখনো প্রায় একশ’ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। এ অবস্থায় গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সংবাদপত্র প্রতিনিধি পরিষদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল শিগগিরই পরিশোধের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি এস এম এ রাজ্জাক, মহাসচিব মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকারি ক্রোড়পত্র প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরকে (ডিএফপি) বিজ্ঞাপন খাতের বাজেটে যথাযথ অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় বর্তমানে সংবাদপত্রের বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। ফলে সংবাদপত্র শিল্প বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, সংবাদপত্রের সরকারি বিজ্ঞাপন হার গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সাড়ে তিন গুণ বৃদ্ধি পেলেও সে হারে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি। চলতি বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অথচ বিগত অর্থবছরের বিজ্ঞাপন বিল বকেয়া আছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে পূর্বের বকেয়া বিল পরিশোধ না করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় শর্তারোপ করার কারণে সংবাদপত্রগুলো বকেয়া বিজ্ঞাপন বিলের টাকা পাচ্ছে না। এ কারণে সংবাদপত্র শিল্প বর্তমানে চরম অর্থ সঙ্কটে পড়েছে। এ অবস্থা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকলে সংবাদপত্রের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) স. ম. গোলাম কিবরিয়া গতকাল ইনকিলাবকে জানান, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৫৬ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ বছর আবার ব্যয় বিভাজনের তালিকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ক্রোড়পত্র ছাপা যাবে না। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের ৬ মাস থেকে এখনো ১৭ কোটি টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। সে বরাদ্দের ওপর আবার ডাবল স্টার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব ক্রোড়পত্র প্রকাশ কমিটির প্রধান; সেখানে এই কমিটির সুপারিশ মানছে না অর্থ মন্ত্রণালয়। এ সমস্যার কারণে আমরা সংবাদপত্রের বকেয়া বিল দিতে পারছি না। তারপরও তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব স্যার এ বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকদের মতোই সম্মুখ সারির যোদ্ধার দায়িত্ব পালন করেছেন সাংবাদিকরা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল আটকে রেখে সাংবাদিকদের নিদারুণ আর্থিক কষ্টে ফেলেছে। গার্মেন্টস শিল্পসহ নানা সেক্টরে করোনায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেবাশিল্প হিসেবে পরিচিত সংবাদপত্রে সে ছোঁয়া লাগেনি। এমন অবস্থাতেও সকল প্রতিক‚লতা সামলে সংবাদপত্র পাঠকের কাছে প্রতিদিন খবর পৌঁছে দিচ্ছে। অন্যান্য শিল্প সরকারের পক্ষ থেকে নানান সহায়তা পেলেও সংবাদপত্র শিল্প কার্যকর কোনো সাহায্য ও সহযোগিতা কখনো পায়নি। মুনাফামুখী সাধারণ শিল্পগুলো সহযোগিতা পায়; সেবাশিল্প সংবাদপত্র শিল্প তা পায় না। কিন্তু সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিলটাও পাচ্ছে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং মন্ত্রিপরিষদের চিঠির পরও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কেন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধে অর্থ ছাড়া করা হচ্ছে না সেটাই প্রশ্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।