পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিশু আশিকুর রহমান নিলয় (৯) হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। জেল আপিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদ-ের পাশাপাশি আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড-, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ-েরও আদেশ দেয় হয়েছে।
আপিলকারী আসামি এরশাদ আলী ওরফে এরশাদ, আবুল কালাম ওরফে কালাম ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে কানা রিন্টু ওরফে মিন্টুর পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। নিয়মিত আপিল দায়েরকারী আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে কালা চোর ওরফে কালা ডাকাতের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন ভূঁইয়া। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
রায়ের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার ভরমোহনী গ্রামের জনৈক আব্দুল হালিমের ৯ বছর বয়সী শিশুপুত্র আশিকুর রহমান নিলয়কে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ফেরত দেয়ার কথা ঠিক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসামিরা কথা রাখেনি। ছেলেকে ফেরত না পেয়ে ১৩ জানুয়ারি আব্দুল হালিম থানায় মামলা করেন। পুলিশ এজাহারনামীয় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামিদের দেয়া তথ্যমতে ১৪ জানুয়ারি জনৈক আব্দুল খালেকের বাড়ি সংলগ্ন শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশু নিলয়ের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। আসামি এরশাদ আলী এবং নূর মোহাম্মদ ওরফে কাূ ওরফে কালা ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ১৪ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়। বিচার শেষে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮/৩০ ধারা এবং দ-বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ৪ জন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ- দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, এরশাদ আলী ওরফে এরশাদ, আশরাফুর ইসলাম ওরফে কানা রিন্টু ওরফে রিন্টু, আবুল কালাম ওরফে কালাম ও নুর মোহাম্মদ ওরফে কালু ওরফে কালা চোর ওরফে কালা ডাকাত। পরে মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। চার আসামির মধ্যে একজন আসামি নিয়মিত আপিল করেন। বাকি ৩ জন জেল আপিল করেন। সবগুলো আপিল ও ডেথ রেফারেন্স একত্রে শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে চার আসামিকেই মৃত্যুদ- দেন। হাইকোর্টের রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল বিভাগে একজন আসামি নিয়মিত আপিল এবং তিনজন জেল আপিল করেন। শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত রায় দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।