পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফের রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সব চিকিৎসকরাই সেখানে ছিলেন।
তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) আবার সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছেন। আবার তার রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকরা পরিস্কার করে বলেছেন যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করার জন্য তাকে অবিলম্বে এক মুহুর্ত দেরি না করে উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। সরকারের কাছে আবারো আহবান জানাচ্ছি- অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রথম থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থা থেকে এই সমস্যাগুলো তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না। আপনারা দেখেছেন, সুস্থ অবস্থায় হেঁটে তিনি কারাগারে গিয়েছিলেন। কয়েকবছরে ওই কারাগারে থাকার ফলে তার চিকিৎসা না হওয়ায় আজকে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে, তিনি এখন আইসিইউতে ২৬ দিন ধরে সেখানে আছেন এবং প্রতিটি মুহুর্তে তার স্বাস্থ্যের অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, মনিটরিং করা হচ্ছে, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
৪০১ ধারার শর্ত তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের কথা বলেন। কেনো জনগণকে বোকা বানাতে চান? ৪০১ ধারার যে আইন আছে তাকে আটকিয়ে রেখেছেন। সেই ধারায় শর্ত দিয়েছেন যে, তিনি (খালেদা জিয়া) দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। ওই শব্দটা আপনারাই (সরকার) তুলতে পারবেন, আর তো কেউ তুলতে পারবে না। ওই শর্ত তুলে নেন। উনি বিদেশে যেতে পাসপোর্টের যে আবেদন করলেন তা বাতিল করে দিয়েছেন। আপনারা মাঝে-মধ্যে যে কথা বলছেন আমরা চিন্তা করছি-এটা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। অবিলম্বে তার পাসপোর্ট দিয়ে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি হলে, অঘটন ঘটলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিতে কেনো তারা এতোটা অনীহা কী জন্যে? আমরা অনেকবার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি, পরামর্শ নিয়েছি। তিনি যখন পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তখন তাকে একইভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। বার বার বলার পরে যখন মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে সেই বোর্ডের অধীনেও তার চিকিৎসা হয়নি। পরে আমাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা মূলত তার অবস্থা জানতে সেখানে (কারাগারে) যান এবং তাদের সুপারিশক্রমে পরবর্তীতে যখন তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন অলরেডি তার অবস্থা চেঞ্জ হয়ে গেছে। এই অবস্থার কারণ হচ্ছে যে, তারা (সরকার) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। কারণ একটাই দেশনেত্রী একমাত্র রাজনীতিক যিনি এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলেন, যিনি এদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন, তিনিই হচ্ছেন একমাত্র রাজনৈতিক যিনি এদেশের গণতন্ত্রের জন্য তার সমস্ত জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের শওকত মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, শেখ আমজাদ আলী, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, আবদুর রহমান, সেকান্দার আলী, কামরুন্নাহার লিজি, রোকেয়া চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।