পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের মাঠে থাকা রোপা আমনসহ প্রায় সোয়া ৫ লাখ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ৭৮ হাজার হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায় থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানার পরে এখন ক্ষয়ক্ষতির চুড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছেন কর্তৃপক্ষ। আজ দুপরের মধ্যে যদি আমনের মাঠ থেকে পানি সরে যায়, তবে ক্ষতির পরিমাণ সীমিত হলেও যেহেতু মাঠে মাঠে পাকা আধাপাকা ধান রয়েছে, সেহেতু উদ্বেগ থাকছেই।
পাশাপাশি খেসারি ও শীতকালীন সবজির যেসব জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আছে সেসব ফসলেরও একটি বড় অংশ ক্ষতির কবলে পড়তে পারে। তবে টানা পাঁচদিন পরে গতকাল বুধবার সকালে বরিশালে সূর্যের দেখা মেলে। এতে কৃষকরা কিছুটা আশান্বিত হয়।
বৃষ্টির পানিতে আক্রান্ত জমির মধ্যে রোপা আমন প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর এবং খেসারি ডাল ২৬ হাজার হেক্টর। এছাড়াও শীতকালীন সবজি সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর, সরিষা ২ হাজার ১৫৬ হেক্টর, মসুর ডাল ৫৭৩ হেক্টর, গোল আলু ৩৮৮ হেক্টর, বোরো বীজতলা ২৩৫ হেক্টর, গম ২০৩ হেক্টর এবং ১০৫ হেক্টরের মরিচ ছাড়াও কিছু অন্যান্য ফসল রয়েছে।
তবে এসব ফসলের ঠিক কতভাগ আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে, তা বুঝতে আরো অন্তত দু’দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। কারণ জাওয়াদের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়নি। ৩ দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও ছিল ১০০ মিলিমিটারের মত। গত মঙ্গলবার সকালের পর থেকে বরিশাল অঞ্চলে কোন বৃষ্টি হয়নি। তবে যেসব ফসলী জমিতে এখনো পানি জমে আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়বে বলে শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, আক্রান্ত আমনের জমির বেশিরভাগ ফসলই মাটিয়ে নুয়ে পড়ছে। এসব আধাপাকা ধান চিটা হতে পারে। এছাড়া আমনের বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এদিকে জমিতে পানি আটকে থাকায় খেসারি ডালের সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও গোল আলুসহ যেকোন রবি ফসলের জমিতে পানি আটকে গেলে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নতুন করে আর ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
এবার খরিপ-২ মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে ৮ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে, উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন চাল। তবে কিছু বোরো বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। এবার রবি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে ১৭ লাখ টনের মত চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।