পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধনাঢ্য বাংলাদেশী বাবা শাহিনূর টিআইএম নবী এবং ৩ বছরের শিশু সন্তানকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভারতীয় মা সাদিকা সাঈদের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আগামি ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের ফেরত আনতে বলা হয়েছে। ভারতীয় মা সাদিকা সাঈদের কৌঁসুলি ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর সাদিকা সাঈদ ও শাহিনুর টিআইএম নবীর ৩ বছরের শিশুকে নিয়ে দেশত্যাগের ঘটনায় শিশুটি দাদা টিআইএম নবীকে তলব করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে টিআইএম নবী যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন-এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ফেসবুকে উচ্চ আদালত নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এছাড়া আদালতের আদেশ অমান্য করে শিশুকে নিয়ে দেশত্যাগ করায় বাবা শাহিনুর টিআইএম নবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তার বাংলাদেশী পাসপোর্টের কার্যকরিতা সাময়িক স্থগিত করা হয়। আদালতের আদেশে টিআইএম নবী হাজির হন। ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাদিকা সাঈদ ও শাহিনুর টিআইএম নবী তার ৩ বছরের শিশুকে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন।
পুলিশের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান, ১৬ নভেম্বর সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে শিশুকে নিয়ে বাবা শাহিনুর টিআইএম নবী অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন। গত ১৭ নভেম্বর সাদিকা সাঈদ ও শাহিনূর টিআইএম নবীর তিন বছরের শিশুসহ পলাতক বাবাকে হাজির করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৬ নভেম্বর ভারতীয় নাগরিক সাদিকা সাঈদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক বাবা শাহিনুর টি আই এম নবীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। আর ১৫ নভেম্বর ওই শিশুকে ১৬ নভেম্বর সকালের মধ্যে মায়ের আইনজীবীর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ওই শিশুর বাবা আইনজীবীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। এ কারণে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
এরও আগে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট দুই মাসের জন্য ওই শিশুকে তার মা সাদিকা সাঈদের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, মা ও শিশু মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) ব্যবস্থাপনায় থাকবে। তবে বাংলাদেশী বাবা সপ্তাহে তিনদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এ দুই মাস সাদিকা সাঈদের পাসপোর্ট গুলশান থানায় জমা রাখতে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।