পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের জনগণের আর বুঝতে বাকি নেই যে, প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রধানমন্ত্রীর প্রধান টার্গেট এখন দেশনেত্রীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া। কারণ মৃত্যুর সাথে লড়াই করা দেশনেত্রীর সমস্ত মৌলিক মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে তাঁকে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। বিদেশে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সূ² মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনমনে। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যখন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেয়া হয়েছিল তখন তিনি কারাগারের ভেতরে হেঁটে গেছেন। কিন্তু আজ কেন তাঁর এই ভয়ানক অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা ? এ প্রশ্নের জবাব সরকার, কারাগার ও পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একদিন দিতেই হবে। আরেকটা প্রশ্নের জবাবও সরকারকে দিতে হবে। এখন দেশনেত্রীর জীবনকে নিঃশেষ করে দিতে শেখ হাসিনার প্রকাশ্য প্রতিহিংসার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে নানাভাবে। খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। গত ৬ মে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয়-সরকার দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ যেতে দিতে রাজী নয়, তিলে তিলে তাঁকে নিঃশেষ করাই এই মূহুর্তে আওয়ামী সরকারের কর্মসূচি।
মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে সরকার নাটক তৈরি করেছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে দেশবাসী যখন সোচ্চার, বাজার-বন্দর-হাট-ঘাট-চায়ের দোকান-গণমাধ্যম-সোশ্যাল মিডিয়া-রাজপথে প্রতিবাদী মিছিলে সর্বত্র যখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে একাট্টা তখন মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে নতুন নতুন নাটক তৈরী করা হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল তার একমাত্র কাজ। খিস্তিখেউড়ে ডা. মুরাদ তার সিনিয়রদের অতিক্রম করে দিনে দিনে দুর্বিনীত হয়ে উঠেছিল। ভব্যতা সভ্যতার সকল সীমা অতিক্রম করে মুরাদ জনগণের সামনে দানবের মতো আবির্ভূত হয়েছে। নারীবিদ্বেষী, বর্ণবিদ্বেষী মুরাদের মানসিকভাবে বিকৃত বক্তব্য সারা জাতিকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। উপর মহল থেকে আস্কারা পেয়ে অসুস্থ মানসিকতার একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহারে সে যে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে মুরাদ সেটির একটি প্রমাণ। এরকম একজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার আস্ফালনে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে সরকারের টালবাহানা সম্পর্কে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে কেউ রেহায় পাবেন না। জনগণের টর্নেডো আন্দোলনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবেন আপনারা। আপনাদের অস্তিত্ব জনগণের মন থেকে মুছে যাবে। তাই এই মূহুর্তে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি: সংবাদ সম্মেলনে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে কার্যালয়সমূহে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধ:নমিতকরণ করা হবে। সকাল ৯টায় মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ অর্পণ করবে বিএনপি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাকরাইস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ভোরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দলের পক্ষ মহান শহীদদের উদ্দেশ্যে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হবে। ঐদিনই শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ ডিসেম্বর বেলা ২টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।