পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আমন্ত্রণ পেলেও আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি বিএনপি। এই বছরের এপ্রিলে বিএনপির কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ যোগ না দিলেও ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে একদিন আগে জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তবে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি দলকে দেখা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। তবে সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতার প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ ফোরামে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনো প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কেউ যায়নি।”
যুগ্ম মহাসচিব আলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেন, আমার কাছে কোনো খবর নাইরে ভাই। কোনো মেসেজ মহাসচিবের কাছ থেকে পাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির সম্মেলনে না আসার পাশাপাশি যে আচরণ করেছিল, তা তাদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পথ কঠিন করে দিয়েছে।
যে কারণে যায়নি বিএনপি
একটি প্রতিনিধি দলের যোগ দেয়ার গুঞ্জন থাকলেও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেয়নি বিএনপি। কেনো যায়নি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, শুক্রবার আমি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলাম, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যখন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বাসার উদ্দেশে রওনা করেছিলেন তখন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সমস্ত রাজপথে তা-ব করে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছিলো যে, সিকিউরিটি রিজিয়নে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এমন অবস্থা যদি না করেন, ইনশাআল্লাহ আপনাদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য, আশীর্বাদ করার জন্য, আপনাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে সংশোধিত পথে ফেরত আসার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আশীর্বাদ-দোয়া-সহযোগিতা-অংশগ্রহণ সবই থাকবে। কিন্তু ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কথা বলার সুযোগ থাকা দরকার তা তারা রাখেন নি। তাদের সম্মেলনে কোনো রাজনৈতিক দলই বক্তব্য রাখতে পারেনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, শুধু ফটোসেশনের জন্য সেখানে শরিক হবার কোনো কারণ আছে বলে বিএনপি মনে করে না। তবে এই দাওয়াত যে লোক দেখানো ছিলো এই বাস্তবতা বুঝতে আর বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার একদিকে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে যখন তাদের প্রতিনিধি দল দাওয়াত কার্ড হস্তান্তর করছিলো ঠিক সেই সময়েই তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।