পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। জুরাইনের বউবাজার মদিনা মসজিদের পাশে একটি টিনশেড বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেনÑ গৃহকর্তা আবুল কালাম আজাদ (৫০), তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৪০), ছেলে মো: রনি এবং আজাদের ভাতিজী শারমিন আক্তার (২৫)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের সবার অবস্থাই গুরুতর। আগুনে দগ্ধ জেসমিন আক্তার (৩৮) জানান, গতকাল সকাল ৭টার দিকে আমার স্বামী আবুল কালাম আজাদ রান্নাঘরে সিগারেট ধরানোর জন্য দেশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে আমার স্বামী ও এবং তার সাথে থাকা পুত্র রনি দগ্ধ হয়। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে আমি (জেসমিন) এবং আমার ভাসুরের মেয়ে শারমিন আক্তার দগ্ধ হই। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের সকলকে উদ্ধার করেন।
জেসমিন আরো জানান, বউবাজার মদিনা মসজিদের পাশে টিনশেড এ বাড়িটি তারা চলতি মাসের ১ তারিখে ভাড়ায় নেন। বাড়িতে ওঠার পর দেখেন রান্নাঘরের গ্যাস লাইনে লিকেজ রয়েছে। বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি ঠিক করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু গ্যাস লাইনটি মেরামত করে দেননি। তাদের ধারণা, লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হয়ে ঘরের মধ্যে জমা হয়েছিল। যেটা তারা বুঝতে পারেনি। আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় এবং জেসমিন একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। শিশুপুত্র রনি স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার গোপালগঞ্জ এলাকায়।
ঢামেক হাসপাতালেল বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান, দগ্ধ সবার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। আবুল কালামের ৬০ শতাংশ, জেসমিনের ৩৯ শতাংশ, শিশু রনির ৪০ শতাংশ ও শারমিনের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।