পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে প্রবাসীদের এই মুহূর্তে দেশে না আসার পরামর্শ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আপনারা এখন যে যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন। গতকাল রোববার সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের তাদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন। তিনি বলেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। টিকা নেওয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনবল বৃদ্ধি করার জন্য ইতোমধ্যে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচি আরও বেগবান করা হয়েছে। আমরা প্রথম ডোজ ৭ কোটি দিয়েছি। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ৪ কোটি দেওয়া হয়েছে। আজ টিকা প্রদান করা হলে ১১ কোটি ডোজ প্রদান করা হবে। এটাও একটা গণপ্রস্তুতি। কারণ ওমিক্রনকে যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে টিকা নিতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা প্রমুখ।
চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তুলতে সাভারে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) এর ১২ তলা আধুনিক ভবনটি। যার সার্বিক দেখভালে দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন। এখানে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক ও অনাবাসিক বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।