পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জৈনপুরী খানকা শরীফ কমপ্লেক্সের উদ্যোগে সম্প্রতি মাসিক তাফসীর, জেকের ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তাফসীর ও আখেরি মুনাজাত করেন আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব। ডেসকোর সাবেক জিএম আলহাজ সফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন তেপান্তর গ্রুপের চেয়ারম্যান, দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. এরশাদ উল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন আদর্শ ইসলামি মিশন মহিলা কামিল মাদরাসার আজীবন সদস্য শেখ জহির আহমেদ, ইত্যাদি এন্টারপ্রাইজের মালিক রুহুল আমীন মেহদী, উপদেষ্টা প্রকৌশলী নেজাম উদ্দীন, আজীবন সদস্য কাজী মোশাররাফ হোসাইন এবং পেট্রন সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
তাফসীরকালে জৈনপুরী পীর সাহেব বলেন, আপনারা সুরায়ে কাওসার পাঠ করলেই বুঝতে পারবেন যে, আল্লাহ তা’আলার অতুলনীয় ও অমূল্য নেয়ামত পেলে কি করতে হয় এবং নেয়ামত পেয়ে আল্লাহ তা’আলার শুকরিয়া আদায় করলে আরো বেশি বেশি অনুগ্রহ ও নেয়ামত পাওয়া যায়। যেমন দয়াল নবীজীর শিশু সন্তানদের ইন্তেকালে মুনাফেক আছ এবনে ওয়ায়েল নবীজীকে নির্বংশিয়া বলে কটূক্তি করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ নবীজীকে হাউজে কাওসার দান করেন এবং দয়াল মাওলা বলেন, হে প্রিয় রাসূল! আমি অদ্য হতে আপনাকে হাউজে কাওসার দান করে দিলাম, তার বিনিময়ে আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তার জন্য নামাজ আদায় করুন, যা জানের ইবাদত আর কোরবানী করুন যা মালের ইবাদত। নিশ্চয় আপনার দুশমন অচিরে নির্বংশিয়া হয়ে যাবে। এতে পরিষ্কার বোঝা গেল যে, আল্লাহর দান ও নেয়ামত পেয়ে নামাজ, রোজা, ইত্যাদি শারীরিক ইবাদত ও দান, সদকা, কোরবানী ইত্যাদি মালের ইবাদতও করতে হবে।
পীর সাহেব আরো বলেন, হাউজে কাওসারের খালেক (সৃষ্টিকর্তা) হলেন আল্লাহ আর মালিক হলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। কবি বলেছেন- ‘খালেকে কূল নে আপকো মালেকে কূল বানা দিয়া, আসমান ওয়া যমীন কি বাদশাহি তেরে কবজা ও এখতেয়ার মেঁ’। তাই যারা নবীজীকে জীবন থেকে বেশি ভালবাসবেন তারাই হবেন খাঁটি ঈমানদার এবং তাদেরকেই হুজুর (সা.) হাউজে কাওসারের পানি পান করিয়ে পিপাসা মিটাবেন। আর যারা নবীজীকে ভালবাসবে না বা নবীজীর খাতিরে জানমাল কোরবান করবে না, তারা কোনোদিন হাউজে কাওসারের পানি পাবে না এবং দুনিয়াতে সুখ-শান্তি নছিব হবে না। পীর সাহেব আগামী ৬ জানুয়ারি বাদ আছর থেকে দরবার শরীফের মাসিক মাহফিলে শরীক হওয়ার জন্য সকলকে দাওয়াত দেন এবং অত্র মহিলা কামিল মাদরাসায় ছাত্রীদেরকে ভর্তি করানোর আহবান জানিয়ে আখেরি মোনাজাত করেন। যোগাযোগ : ০১৭৩২৩০২২৮৬
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।