পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ তিনটি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে হবে সরকারি কর্মকর্তাদের। হাইকোর্টের একটি রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। দফতরগুলো হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধের এই নির্দেশনা দেয়া হয়-মর্মে উল্লেখ করা হয় রায়ে।
রায়ের তথ্য মতে, ২০১৫ সালে বিআইডব্লিউটিসি ৬ কোটি টাকার ফগ লাইট কিনতে আমেরিকায় যান প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক জ্ঞানরঞ্জন শীল, জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পঙ্কজ কুমার পাল। তাদের মধ্যে প্রকৌশলী ছিলেন মাত্র একজন। তারা ৬ কোটি টাকা দিয়ে ১০টি ফগ লাইট কেনেন। কিন্তু সেগুলো ছিল নিম্নমানের। এছাড়া দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালেই তারা ফগ লাইট পরীক্ষা করেন।
মাওয়া এবং আরিচা ফেরিঘাটে ফগ লাইট পরীক্ষার পর দেখা যায়, ৭ হাজার ওয়ার্ডের ফগ লাইট কাজ করছে মাত্র ৩ হাজার ওয়ার্ডের সমান। কিন্তু এর মধ্যে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। তবে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেয়া হয় ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা। ২০১৬ সালে ব্যাংক গ্যারান্টির ২৮ লাখ টাকা উদ্ধারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ফগ লাইট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন।
সেই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে এই রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুর রশিদ। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।