পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিতে পড়া বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে বড় ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে। গত নভেম্বরে যে প্রবাসী আয় এসেছে, তা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। যদিও ব্যাংকিং চ্যানেলে, তথা বৈধ পথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ প্রণোদনা বহাল রেখেছে সরকার।
অবশ্য অবৈধ পথে এলে আরও বেশি অর্থ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা হলেও খোলাবাজারে ডলার ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর সুবাদে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানো দিন দিন কমছে। পাশাপাশি করোনায় প্রবাসীরা যে ক্ষতিতে পড়েছে, তা ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার আয় এসেছিল। এর মাঝের মাসগুলোতে সব সময় প্রবাসী আয় বেশি ছিল। ২০২০ সালের জুলাইয়ে প্রবাসী আয় ২৫৯ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারি শুরুর পর বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অবৈধ পথে আয় আসাও বন্ধ হয়। এ কারণে সব আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতে শুরু করেছিল। এতে প্রবাসী আয়ে নতুন নতুন রেকর্ড হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এখন যোগাযোগব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাতে প্রবাসী আয়ও কমতে শুরু করেছে। করোনায় প্রবাসীরা যে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তা এখন বোঝা যাবে। আবার জনশক্তি রফতানির চিত্রও সুবিধাজনক নয়। তাই সামনে আয় আসা আরও কমে যেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে আয় কমেছে ৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৭২ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আয় এসেছিল ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর নভেম্বরে সেটি কমে হয়েছে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।