Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চবিতে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চবি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন বোম্বেসুইটসের এক বিক্রয় প্রতিনিধি। বৃৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় মো. রুবেল নামে ওই বিক্রয় প্রতিনিধি প্রক্টর অফিসে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু এবং আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চবি দুই নং গেইট এলাকায় পণ্যের অর্ডার নিতে আসে বোম্বেসুইট্সের বিক্রয় প্রতিনিধি রুবেল ও আকবর। এদের মধ্যে আকবর গাড়ির ভেতরেই ছিলেন। রুবেল দোকানে কথা বলতে গেলে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় মিনু ও মিজানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন। পরে রুবেলকে তারা চবি আলাওল হলের গেস্ট রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে এবং তার কাছে থাকা প্রায় ৬ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বা আশপাশে ব্যবসা করতে হলে মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিতে হবে বলেও হুমকি দেয়।
খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও স্কয়ার ও ইবনেসিনা কোম্পানির ৪ বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকেও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। তবে ওই বিক্রয় কর্মীরা এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেননি। ঘটনার পরপরই তারা দ্রুত সরে পরেন।
বোম্বেসুইট্স-এর বিক্রয় প্রতিনিধি মো. আকবর জানান, আমি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন কয়েকজন এসে আমাকে মারধর করে। রুবেল তখন দোকানে মালের অর্ডার কাটতে গেলে তাকে জোড়পূর্বক তুলে আনে মিনু এবং মিজানের নেতৃত্বে কয়েকজন। পরে তাকে হলে আটকে রেখে মারধর করে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।
চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আলাওল হলে একজনকে আটকে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে রুবেল নামের এক বিক্রয়কর্মীকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় দু’জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছে তারা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিনু ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। আপ্যায়ন সম্পাদক মিজান এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে ধরে নিয়ে এসেছিল। পরে প্রক্টর স্যাররা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার সাথে মিজানুর রহমান মিজান জড়িত। এ বিষয়ে জানতে মিজানের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আরএফএলের বিক্রয় কর্মী, সিগারেট কোম্পানির বিক্রয়কর্মী, চালের ট্রাকসহ বিভিন্ন দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ হয়ে আসছে। গত দুই-এক মাস যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা মাত্রাতিক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ব্যবসায়ী। এছাড়াও চবির আলাওল হলের একাধিক শিক্ষার্থীর উপর নানা সময়ে অত্যাচার করারও অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের ধরে নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে শিবির বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এতে করে ভুক্তভোগীরা নীরবে সব সহ্য করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চবিতে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ