পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় কুর্দিদের নিয়ে মসুলে ইরাকের সরকারি বাহিনী চলমান অভিযানে সফলতার বিপরীতেই এক নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযান শুরুর পর থেকেই আইএস নেতারা সপরিবারে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে মসুল থেকে আইএস বিতাড়িত হলেও সেখানে খুঁটি গেঁড়ে বসতে পারে আইএস বিরোধী একটি গ্রুপ। এমনটাই মনে করছেন আইএস নিয়ন্ত্রিত মসুল থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, গত ছয় মাসে ওই গ্রুপটির প্রসার ঘটেছে। এরইমধ্যে এক সাক্ষাৎকারে ইরাকি কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফালাহ মুস্তাফা বাকির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মসুল অভিযান কয়েক মাস পর্যন্ত গড়াতে পারে। কারণ এখানে জয়লাভের বিষয়টি নির্ভর করছে জঙ্গিদের মনোবলের ওপর। মসুলের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একটি গুপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠী সংগঠিত হচ্ছে। পর্যাপ্ত শক্তি সংগ্রহ করে আইএসকে রুখে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছে তারা। চলতি সপ্তাহেই একটি পেশমার্গা চেকপয়েন্টে হাজির হয়েছিলেন এক পরিবারের দুই সদস্য। তারা জানান, কিভাবে গোপনে সংগঠিত হওয়া যায়- এ ব্যাপারে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। শহরের অন্যান্য অংশের বিদ্রোহীরা বিদ্রোহ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে আইএসের হাত থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের ব্যবহৃত ইরবিলের একটি জায়গায়। গত বুধবার ওই দুই ব্যক্তি জানান, সেখানকার লোকজন আমাদের সমর্থন করেন। কিন্তু আমরা বলতে পারবো না তারা কারা। এটা খুব উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিছু নয়, কিন্তু এটা ঘটছে। এমনিতেই এমন গুঞ্জন রয়েছে যে, গ্রীষ্মের গোড়া থেকেই স্থানীয়ভাবে আইএসের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ দানা বাধে। সংঘাত নিকটবর্তী হলে এটা আরও তীব্র হয়। আইএস বিরোধী গ্রুপটির হাতে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ থাকার গুঞ্জন বা একটা আসন্ন বিদ্রোহের পক্ষে অবশ্য কোনও দালিলিক প্রমাণ নেই। বলা হচ্ছে, স্থানীয় সমর্থন হ্রাস পাওয়ায় লড়াই অন্য মাত্রায় রূপ নিয়েছে। আবু জামিল নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ইরাকি গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, তিনি নিজেও আইএসের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে আইএসের হাতে পিতার মৃত্যুর পর আশানুরূপ সহায়তা না পাওয়া তিনি তাদের ত্যাগ করতে বাধ্য হন। আবু জামিল বলেন, আমি এটা বলবো না যে, এটা একটা ব্যাপক আন্দোলন। আমরা তাদের কৌশল নিয়ে গবেষণা করেছি। সূত্র : আল-জাজিরা, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।