Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সব মানুষের নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল আইন : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। কোনো বিশেষ পেশার মানুষের জন্য নয় এবং বিশ্বের প্রায় সবদেশেরই এ ধরণের আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর র‌্যাডিসন বøু-ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বেসরকারি সংস্থা ডিপ্লোম্যাটস আয়োজিত ‘ফ্যাক্ট এন্ড ইমপ্যাক্ট অভ্ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ সেমিনারে নিজ দফতর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। ব্যারিস্টিার এস এম শফিউল্লাহ রহমান, ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কাজল মূল আলোচনায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বিষয়টা যখন আজকের বাস্তবতা, তখন পৃথিবীর প্রায় সবদেশে এধরণের আইন তৈরি করেছে কিম্বা করছে। আমাদের দেশে যখন ডিজিটাল বিষয় ছিল না তখন এ আইনের প্রয়োজন ছিল না। আজকে যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিম্বা অনলাইনে একজন গৃহিনীর চরিত্র হনন করা বা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয় তাহলে তিনি কোন আইনের বলে তিনি প্রতিকার পাবেন! একজন কৃষক, ছাত্র, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী কিম্বা একজন রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে যদি সেটি ঘটে, তাহলে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই প্রয়োজনীয়তার নিরিখেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। ভারতে দি ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট ২০০০, পাকিস্তানে দ্য প্রিভেনশন অব ক্রাইম অ্যাক্ট ২০১৬ এবং সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াতেও এ ধরণের আইন করা আছে। একটি ফ্রেমওয়ার্ক আইনের অধিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ ধরণের আইন প্রণয়ন করেছে, অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই এ আইন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক কালে তিনি জানান, কেউ যদি ফেক-আইডি দিয়ে কিম্বা বিদেশ থেকে কোনো অপপ্রচার, গুজব রটনা বা চরিত্র হননে লিপ্ত হয়, তখন তাকে ধরা কঠিন। তখন আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারকে ধরি এবং জরিমানা করি। ফেইসবুকের মাধ্যমে কেউ যদি গুজব রটায় কিম্বা রাষ্ট্র-সমাজবিরোধী অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ফেইসবুক হোক, ইউটিউব হোক কিম্বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোক, সেই ব্যক্তি ও প্লাটফর্ম দুইয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণের আইন পৃথিবীর সবদেশেই আছে এবং হচ্ছে।

ড. হাছান বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করার আগে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করতো মাত্র ৫০ লাখ মানুষ। আজকে ১১ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রায় ৮ কোটি মানুষ। আমরা সরকার গঠন করার আগে আমাদের দেশে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা ছিল। আজকে অনলাইন পত্রিকা কত বা ক’হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়। এর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ অনলাইনে কিম্বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক‚লতা ও বিগ্রহের শিকার হচ্ছে। অনলাইনে নানা ধরণের অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। স¤প্রচারমন্ত্রী বলেন, সা¤প্রতিক সময়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে যে ঘটনা ঘটেছে সেটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের কারণে। এর আগে যে ছেলেধরা গুজব এবং পদ্মাসেতু করতে হলে সেখানে নরবলি দিতে হবে এমন গুজব রটিয়ে দেয়া হলো এবং সেকারণে অনেক নিরীহ মানুষ নানাভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলো, সেটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ