পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশে বর্তমানে মোট গ্যাসের অর্ধেকেরও বেশি গ্যাস যে কোম্পানিটি উত্তোলন ও সরবরাহ করছে সেই মার্কিন প্রতিষ্ঠান শেভরন তার স্বার্থ বিক্রি করে দিচ্ছে। এখানের সম্পদ ও স্বার্থ বিক্রির জন্য তারা খরিদ্দারও খুঁজছে। প্রত্যাশিত অর্থ পেলেই তারা বিক্রি করে চলে যাবে। এদেশে তাদের ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
শেভরন তাদের সমুদয় সম্পদ বিক্রি করতে ভারত ও চীনের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশও এই সম্পদ ক্রয় করতে আগ্রহী এমন আভাস দিয়েছেন খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
উল্লেখ্য, উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করে জালালাবাদ, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানা তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে পরিচালনা করছে মার্কিন তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি শেভরন। বৃহস্পতিবার এই কোম্পানিটি তাদের তিন ক্ষেত্র থেকে ১৫৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করেছে। আর এদিন দেশে মোট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে ২৭৪ কোটি ঘনফুট। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশী বিনিয়োগ করা কোম্পানি। দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র পরিচালনা করে তারা।
এ ব্যাপারে শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, আকর্ষণীয় দর পাওয়ার উপরে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। এই মুহূর্তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিক্রির বাণিজ্যিক আলোচনা চলছে। সুবিধামতো ও আকর্ষণীয় দর পেলে শেভরনের স্বার্থ বিক্রি করে দিবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে শেভরনের সম্পদ বিক্রির কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। শেভরনের বাংলাদেশের সম্পত্তি বিক্রি করতে হলে পেট্রোবাংলার অনুমতি নিতে হবে। পিএসসি অনুযায়ী পেট্রোবাংলার অনুমতি ছাড়া শেভরন তার স্বার্থ বিক্রি করে চলে যেতে পারবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকা সম্পত্তি বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে শেভরন। এরই মধ্যে একাধিক দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। যার মধ্যে ভারত ও চীন উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনে বিশ্বব্যাপী লোকসানে পড়ে শেভরন শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা তাদের স্বার্থও বিক্রি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সম্পদ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের সম্পদ বিক্রি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
এদিকে পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, শেভরনের গ্যাসের উৎপাদন গত দুই বছর অনেকটা কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেভরন প্রায় চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার গ্যাস পেট্রোবাংলাকে বিক্রি করেছে। যা ২০১৫-১৬ সালে এসে কমে হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার গ্যাস।
এই তিন গ্যাসক্ষেত্রে এক বছরের ব্যবধানে শেভরনের বিনিয়োগ কমেছে ১৯ শতাংশ। এ তিনক্ষেত্রে ২০১৪ সালে শেভরন খরচ করেছে ৪১ কোটি ২৯ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে করেছে ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ২০১৩ সালে খরচের পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এ হিসাবে দুই বছরে বাংলাদেশে শেভরনের বিনিয়োগ কমেছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
শেভরন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে শেভরনে দুই হাজার জনবল আছে। এরমধ্যে স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক জনবল রয়েছে। গত একবছরে নতুন করে আর কোন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নবায়ন করেনি শেভরন।
এছাড়া ঢাকাসহ গ্যাসক্ষেত্রের কার্যালয়গুলোতে খরচ কমানোর বিষয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তারা। শেভরনের এমন কর্মকা- নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।