পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘কাউকেই ভোট নয়’ ক্যাম্পেইনও চলছে জোরেশোরে
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছেন। গতকাল প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে একচেটিয়া সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই সমর্থন দ্রুত বেড়েই চলেছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আফ্রিকান আমেরিকানরা হিলারিকে সমর্থন করছেন। তাদের মধ্যে হিলারি ও ট্রাম্পের সমর্থনের হার যথাক্রমে ৮৯ ও ৭ শাতংশ। এক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ছাড়িয়ে গেছেন হিলারি। ২০১২ সালে ওবামা আফ্রিকান আমেরিকানদের যে সমর্থন পেয়েছিলেন তার চেয়ে হিলারি ক্লিন্টন ৬ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন। অন্যদিকে হিস্পানিকদের মধ্যে হিলারিকে সমর্থন করেন ৭৫ শতাংশ, ট্রাম্পকে ২১ শতাংশ। ভারতীয় ছাড়া আফ্রিকান আমেরিকানদের ৭০ শতাংশ হিলারিকে এবং ২২ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর ভারতীয়দের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন ২৯ শতাংশ, এটিই হচ্ছে কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ সমর্থন। অবশ্য সার্বিকভাবে ভারতীয়দের সমর্থন হিলারির প্রতিই বেশি। ডেমোক্রেট প্রার্থী পাবেন ৫৭ শতাংশ ভারতীয়র ভোট। মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মধ্যেও বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হিলারি।
চ্যারিটি নৈশভোজে দুই প্রার্থী
নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো একসাথে চ্যারিটি নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী- হিলারি ক্লিনটন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুটা হাসি আর কৌতুকে জমে উঠলেও শেষ দিকে আক্রমণাত্মক রূপই ফুটে ওঠে। এরআগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প- একই মঞ্চে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন হাসিখুশি চেহারা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কে চ্যারিটি নৈশভোজে সাবলীল ছিলেন দু’জনই।
তবে, সৌজন্যতার অংশ হিসেবে কেউ কারো সাথে হাত না মেলালেও, একে অপরের সঙ্গে কৌতুক করেছেন, হেসেছেন। যদিও এক পর্যায়ে কৌতুকের সঙ্গে যোগ হয় তিক্ততাও। ওই একই দিনের সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। ওহিও অঙ্গরাজ্যের ডেলাওয়ারে সমাবেশে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। বলেন, কেবলমাত্র জয়ী হলেই, ভোটের ফল মেনে নেবেন তিনি। ট্রাম্পের এ’ ধরনের মন্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
‘কাউকেই ভোট নয়’ ক্যাম্পেইনও চলছে জোরেশোরে
এদিকে ভোট পাওয়া নিয়ে ডেমক্রেট আর রিপাবলিকান শিবিরের ঘুম হারাম হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের একদল ভোটার বলছেন, তারা হিলারি ক্লিনটন কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দুইজনের কাউকেই ভোট দেবেন না। নিজেদের সিদ্ধান্তকে জনপ্রিয় করতে তারা ভোট নোবডি ২০১৬ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন, যা বিবিসি তুলে এনেছে। এরই মধ্যে তাদের ফেইসবুক পেইজে লাইকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে এক লাখ। টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে ভোট না দেয়ার এ প্রচার সাড়া ফেলেছে। বেশিরভাগ আমেরিকান ৮ নভেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তুলনামূলক কম যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসবেন এমন ধারণায় ছেদ টানতে চাইছে ভোট নোবডির প্রচারকরা। সূত্র: সিএনএন, এনবিসি, ইউপিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।