পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকী নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নানাবিধ জটিল রোগে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে এসেছেন। তাঁর মেডিকেল বোর্ডও তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে বিস্তারিত যা তুলে ধরেছেন তা উদ্বেগজনক। সেখানেও চিকিৎসকগণ তাঁর অবনতিশীল গুরুতর শারীরিক অবস্থার কথা বলেছেন। এক প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশনেত্রীর জীবন। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের অবিসংবাদিত এই নেত্রী শত নির্যাতনের মুখেও নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। তাঁকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য দেশনেত্রীর অবদান অবিস্মরণীয়। নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ও উপবৃত্তি চালুর মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন সমাজ উন্নয়নে। বেগম জিয়ার আমলে প্রাকৃতিক এবং রাজনৈতিক দুর্যোগকে সামলাতে গিয়ে দেশকে খাদ্য সংকট অথবা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেননি। বরং তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন এবং সকল অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতেই পারছে না। সমস্ত মানবিকতাকে বিসর্জন দিয়ে প্রতিহিংসা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশ থেকে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি, মৌলিক মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা, অন্যের প্রতি সম্মান মুছে ফেলার জন্যই দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। তাঁকে জেলবন্দী অবস্থায় অসুস্থ করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। তাঁর প্রতি সহানুভুতিশীল আচরণ তো দুরে থাক, তাঁর মানবাধিকারকেও হরণ করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ আজ উগ্র রুপ ধারণ করেছে বলেই দেশের বৃহত্তম দলের নেত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধুকছেন। ফ্যাসিষ্টরা সহমর্মিতা, সহানুভুতির ধার ধারে না। এরা নির্দয় দমন-পীড়ণে সকল সমালোচনা ও বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কাজেই ব্যাপৃত থাকে। বাংলাদেশের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন পৃথিবীতে দৃষ্টান্তহীন নির্মমতার ভয়ানক রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জোর দাবি জানান।
বিএনপির সমাবেশ আজ: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি’র উদ্যোগে আজ বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় বেলা ১টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে দলটি। ইতোমধ্যে পুলিশ এই কর্মসূচির জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম আজাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।