পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের বিচার না করে নিরাপদে বিদেশে চাকরি করার সুযোগ দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। কিন্তু তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়িয়ে গেছেন স্বামীর বর্বরতাকেও। ১৯৯৬ সালে বিচার বাস্তবায়নের জন্য জেলে ঢুকানো হয় খুনি খায়রুজ্জামানকে। কিন্তু বিচার চলমান অবস্থায়, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সরাসরি নির্দেশে, এই খুনিকে জেল থেকে মুক্তি এবং প্রমোশন দিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়। গতকাল রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তি বিয়ষক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় তার পোস্টে বলেন, খুনি খায়রুজ্জামানের প্রতি বিশেষ আশীর্বাদ ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর, ১৯৭৫ সালে মিসরে পোস্টিং দেওয়া হয় তাকে। এরপর জিয়াউর রহমানের আশীর্বাদে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরিতে ক্রমাগত প্রমোশন হয় তার। এমনকি মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার পর্যন্ত বানানো হয় তাকে।
জয় বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সময় দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই খুনি খায়রুজ্জামান। তার দাপটে সবসময় আতঙ্কে থাকতো প্রশাসনের কর্মকর্তারা। খালেদার বিশেষ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ছিল সে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের পতন ঘটে এবং সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর জেল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় খুনি খায়রুজ্জামানকে। তারপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় জেলে ঢুকানো হয় তাকে। কিন্তু ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট। প্রথমেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার থামিয়ে দেয় তারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই, জেলে আটক খুনি কামরুজ্জামানকে ছেড়ে দেওয়ার সরাসরি নির্দেশ দেয় খালেদা জিয়া।
জয় তার পোস্টে আরও লিখেছেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে খুনি খায়রুজ্জামানকে জেল থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে স্থানান্তরিত এবং তারপর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখানেই থেমে নেই খালেদা জিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা। তার নির্দেশে খুনি খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় প্রমোশন দেওয়া হয় এবং পাঠানো হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের মেয়াদ শেষ হলে সে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যায়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।