Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীলঙ্কা হয়ে আসছে জাল রুপি গন্তব্য ভারত

৭ কোটি ৩৫ লাখ জাল রুপিসহ গ্রেফতার : ২

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাত কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথরের ৯৫টি বস্তার মধ্যে কৌশলে শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসে ভারতীয় জাল মুদ্রা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। গত শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে হয়। গতকাল শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এ সব জানান ডিসি মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, খিলক্ষেতের বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছে এমন তথ্য পায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ফাতেমার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি গুলশান বলেন, গ্রেফতার ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের অন্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন। গত ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার তালেব উদ্ধার করা ভারতীয় জাল মুদ্রা ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করেন। তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথরের ৫০০টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দিয়ে চিহ্নিত ৯৫টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে ওই ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। গ্র্রেফতার ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় আগেও জাল টাকার ব্যবসা করার মামলা ছিল। এই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে চক্রটি এই কারবারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন, ফাতেমা ও তালেব এসব জাল রুপি ঢাকার বাসার পানির ট্যাংকির নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখতেন। পরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সুযোগ সুবিধামতো ভারতে পাচার করে দিতেন। ফাতেমা আক্তার অপির স্বামী দানেশ পাকিস্তানি নাগরিক। অসুস্থ হয়ে তিনি এখন বাসায় থাকেন। তাকে কয়েক বছর আগে ডিবি মতিঝিল বিভাগ গ্রেফতার করেছিল।
এছাড়া আবু তালেবের পাকিস্তানে যাতায়াত ছিল। স্বামী পাকিস্তানি হওয়াতে ফাতেমাও অনেকবার পাকিস্তান গেছেন। এ সূত্রেই জাল রুপি চক্রের হোতা সুলতান ও শফির সঙ্গে তাদের পরিচয়, পরে তারাও এ চক্রে জড়িয়ে পড়েন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাল রুপি গন্তব্য ভারত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ