পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ ‘চুপ’ করে বসে থাকবে না, ‘গণঅভ্যুত্থান’ হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলবেন। আর জনগণ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবেন-এটা কখনোই হবে না, বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশের মানুষ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যেমন মানে নাই, তেমনি আপনাদের (সরকার) ষড়যন্ত্রও মানবে না। গণঅভ্যুত্থান হবে। লড়াই হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সকলে প্রস্তুতি নিন। গতকাল শনিবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) উদ্যোগে জোট নেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই মানবন্ধন হয়। জাতীয় পাটির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় পার্টির আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মুজিবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, সেলিম মাস্টার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এমন কিছু জটিলতা আছে যেটার সুচিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। আমাদের দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, এরকম অবস্থায় তাকে ভালো ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের কোনো বাঁধা নেই। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশের সরকার যারা বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসার জন্যে বাইরে যেতে দেবেন না।
কেনো দেবেন না তারা? আইন যেখানে বাঁধা না, প্রয়োজন যেখানে মানবিক, সেখানে বাঁধার অর্থ কী? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয় এবং এ জন্য তারা ব্যবহার করছে রাষ্ট্র যন্ত্রকে, রাষ্ট্রীয় শক্তিকে। আমি শুধু তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, পুলিশ দিয়ে যদি আন্দোলন দমানো যেতো তাহলে বাংলা আমাদের রাষ্ট্র ভাষা হতো না, সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়ে যদি জনগণের আকাক্সক্ষাকে দমানো যেতো তাহলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। ইতিহাস সাক্ষী জনগণের আকাক্সক্ষায় বাঁধা হওয়ার ক্ষমতা দুনিয়াতে কারো নেই, এই সরকারেরও নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।