পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গুজরাটের দাঙ্গাবিষয়ক একটি মামলায় দন্ডিত ৩১ জনের মধ্য থেকে ১৪ জনকে দন্ড এবং অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ভারতের একটি আদালত।
আসামিদের আপিলের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গতকাল আদালত এই রায় দেন। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় সরদারপুরা এলাকার এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়া ৩৩ জন নিরস্ত্র নিরীহ মুসলমানকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ ছিল খালাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে। আশ্রয় নেয়া ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ফলে নিহতদের মধ্যে ২৮ জন ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আর বাকি পাঁজন আহত অবস্থায় পরে মারা যান এবং গত জুন মাসে আদালতের রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ভিত্তিতে তাদের সবার যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছিল। কিন্তু আপিলের রায়ে গতকাল ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হলো। খালাসির ব্যাপারে আদালত বলেছেন, ১১ জনকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ ভিত্তিতে আর বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণাদি না থাকায় খালাস দেয়া হয়েছে। তবে অন্য ১৭ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গণহত্যার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন গণহত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মোদির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ভারতের অনুসন্ধানী সাংবাদিক রানা আইয়ুব তার অনুসন্ধানে দেখিয়েছেন তখন গুজরাটে মোদি সরকারের বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তি কয়েক হাজার মুসলমানকে হত্যায় সরাসরি উস্কানি দিয়েছিলেন। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।