পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। মেয়রের দায়িত্ব পালনের জন্য তিন সদস্যের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্যানেল মেয়রের তিন সদস্য হলেন ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল আলীম মোল্লা এবং ২৮, ২৯, ৩০ নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির কারণে এর আগে আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে। গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বহিষ্কারের আগে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি দেয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতাকে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে বা তাতে মদত দিলে অনধিক ১০ (দশ) বছরের কারাদণ্ড এবং ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ একাধিকবার করলে সাজা যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড ৩ (তিন) কোটি টাকা করার বিধানও আছে আইনে।
গোপনে ধারণকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে মেয়র জাহাঙ্গীরকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শোনা গেছে। বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অবশ্য শুরু থেকেই ভিডিওটি বানোয়াট বলে আসছেন জাহাঙ্গীর আলম। ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পরই গত ৩ অক্টোবর তাকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি দলীয় মেয়র এম এ মান্নানকে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরখাস্ত করার পর আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয় থেকে গাজীপুর সিটি করপোশেনের প্যানেল মেয়র গঠন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ওই তালিকায় প্রথমে যার নাম আসবে, তিনিই ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় জন, পর্যায়ক্রমে তৃতীয়জন দায়িত্ব পালন করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।