Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিটিসেল বন্ধ করে দিয়েছে বিটিআরসি কার্যালয়ে সিলগালা

বকেয়া পাওনা না দেয়ায় এই ব্যবস্থা : তারানা হালিম

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের (সিটিসেল) কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিটিআরসির একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তাদের কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। বিটিআরসির বকেয়া পাওনা না দেয়ায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিটিআরসির পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এয়াকুব আলী ভূইয়া র‌্যাব ও পুলিশ নিয়ে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় প্যাসিফিক সেন্টারে প্রবেশ করেন। এর কিছু সময় পরই বিটিআরসি’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। সেই সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম বলেন, বিটিআরসির বকেয়া পরিশোধ না করায় টেলিযোগাযোগ আইনের ৫৫(৩) ধারার ক্ষমতাবলে সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সিটিসেলের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে,  ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। মোট বকেয়ার ৪৭৭ কোটি টাকার দুই-তৃতীয়াংশ ৩১৫ কোটি টাকা গতকাল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি, রাজস্ব ভাগাভাগি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, সামাজিক সুরক্ষা তহবিল, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও বিলম্ব ফি বাবদ সিটিসেলের এই পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।
বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় গত জুলাই মাসেই সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। পরের মাসে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ওই নোটিশের পর সিটিসেল আদালতে গেলে আপিল বিভাগ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দিয়েছিল। গত ২৯ আগস্ট আদালতের ওই আদেশ হয়। বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই তৃতীয়াংশ এখন থেকে এক মাসের মধ্যে, আর এক-তৃতীয়াংশ পরবর্তী এক মাসে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ১৭ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন বিটিআরসি আরও ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা হচ্ছে। প্রতিদিনের এই টাকা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, টাকা না পেলে বিটিআরসি যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে। সিডিএমএ অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা কমতে কমতে এখন দুই লাখের চেয়ে কম। যেখানে বাংলাদেশে মোট মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ।
১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স পায় সিটিসেল বা প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটিসেল বন্ধ করে দিয়েছে বিটিআরসি কার্যালয়ে সিলগালা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ