Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন কাল

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

রাজধানী নিয়েছে বর্ণিল সাজ : নৌকার আদলে মঞ্চ : খরচ আড়াই কোটি টাকা : এসএমএস পাঠাবে আওয়ামী লীগ : রাজধানীতে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল : প্রকাশনায় থাকবে আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও
তারেক সালমান : ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় আসা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপদ ও কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়া যাতে ক্ষমতাসীন দলের এ সম্মেলন সম্পন্ন হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও হাতে নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সম্মেলনে যাতে কাউন্সিলর ও বিদেশী অতিথিসহ ভিআইপিরা যাতায়াত করতে পারেন সেজন্যও ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি রুট চিহ্নিত করে তাতে সাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গত পক্ষকালব্যাপী রাজধানী সেজেছে সাজ সাজ বর্ণিল রঙে। ইতোমধ্যেই রঙ-বেরঙের বাতি ও আলোক সজ্জার পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বিশাল সাইজের ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার এবং বিশালকায় তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো রাজধানী।
সম্মেলনকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন আগেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় গড়ে তোলা হয়। সম্মেলনের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের নৌকার আদলে।
এবারের সম্মেলনে শ্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।’ আগামীকাল শনিবার ও পরদিন রোববার আওয়ামী লীগের জাতীয় ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সবক’টি উপ-কমিটি দলের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন সফল করতে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি সভা করেছে।
জানা গেছে, সম্মেলন সামনে রেখে গঠিত ১০টি উপ-কমিটির প্রস্তুতি কার্যক্রম আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবরের সম্মেলনের ভেন্যুকে দৃষ্টিনন্দন করতে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নানা সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে। সম্মেলনের মূল মঞ্চ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা আকৃতির। মঞ্চের উচ্চতা মাটি থেকে ২৫ ফুট। মঞ্চের পেছনে ৩৫ ফুট উচ্চতার এলইডি পর্দা থাকছে। যেখান থেকে সম্মেলনে আগত কাউন্সিলরসহ অতিথিরা সম্মেলনের নানা প্রদর্শনী উপভোগ করবেন। মঞ্চের সামনের দিকে থাকছে স্বচ্ছ কাচের খুঁটিবিহীন একটি গ্যালারি। যার আকার হবে ২৩০ ফুট বাই ১২৫ ফুট। সেখানে সাত হাজার অতিথির আসন থাকবে। ৪০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। সম্মেলনে আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথি, ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর, অর্ধলক্ষাধিক প্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ২৩ অক্টোবর  রোববার সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের নিয়ে পাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে মূল কাউন্সিল অধিবেশন। গুরুত্বপূর্ণ এ অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।
সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম জানান, সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনে আগত অতিথিদের দাওয়াত দেয়া শেষ হয়েছে। ১৪টি দেশের অতিথিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
সাজ-সজ্জা উপ-কমিটির নেতারা জানান, সম্মেলনে পুরো ঢাকা শহর এবং দেশের সব জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সাজবে সমগ্র দেশ।
সম্মেলনের পুরো দুই দিন রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশদ্বার এবং সম্মেলন স্থলের চতুর্দিকে একাধিক মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। সম্মেলনের প্রবেশ পথগুলোতে দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। আগত অতিথিদের জন্য চটের ব্যাগ ও ক্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ব্যাগের একপাশে লেখা আছে সম্মেলনের শ্লোগান ও অন্যপাশে রয়েছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, জয়বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু। ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ব্যাগে থাকবে সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত বিভিন্ন বই-পুস্তক, পানির বোতল এবং ডায়াবেটিস রোগীদের কথা বিবেচনা করে দুটি চকলেট।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সাজ-সজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা রয়েছে, সম্মেলন যাতে উৎসবমুখর হয়, সেজন্য সারাদেশে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করতে ৫টি গেট রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিরা প্রবেশ করবেন। বাকী চারটি গেট দিয়ে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা প্রবেশ করবেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা চেয়ার বসানো হবে।
নৌকার আদলে মঞ্চ:
মঞ্চ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। লম্বায় তা ১৫০ ফুট। চওড়ায় ৮৪ ফুট। মঞ্চের ছাদের উচ্চতা ৪২ ফুট। মূল মঞ্চ হবে পাঁচ স্তরের। একেবারে সামনের অংশটির উচ্চতা হবে আড়াই ফুট। যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হবে। সাত ফুট উচ্চতার স্থানটিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বসবেন। আর পেছনের বিভিন্ন উচ্চতার তিন সারিতে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৫৮ জনের বসার স্থান হবে। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ভেতরে ২০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে। রয়েছে ১৬টি এলইডি টেলিভিশন।
৫০ হাজার লোকের খাবারের মেন্যু মোরগ-পোলাও:
দলের সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, সম্মেলনে বিদেশী অতিথি, রাজনৈতিক কর্মী ও অন্যান্য অতিথিসহ ৫০ হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের দুটি বুথ থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিদেশি প্রতিনিধি ও অন্যান্য অতিথিসহ সম্মেলনে মোট ১৫ টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২০ জন ফোর্স, ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও দুজন করে কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন।
আপ্যায়ন উপ-কমিটির সদস্যসচিব ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনে প্রথম দিন দুপুরে মোরগ-পোলাও দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে আগত নেতাকর্মীদের। ওই দিন রাতে থাকছে ভাতের সঙ্গে খাসির রেজালা। আর পরদিন দুপুরের খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে পোলাও ও মুরগির মাংস। প্রতি বেলা খাবারের সঙ্গে থাকবে বোতলজাত পানি, কোমল পানীয়, ফিরনি, পান, টিস্যু পেপার ইত্যাদি। এর বাইরে চা ও কফির কর্নার থাকছে।
প্রকাশনায় থাকবে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও সিডি
সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের হাতে দেয়া হবে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও সিডি। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও চিত্র ও জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও আগত অতিথিদের হাতে দেবো। বিএনপি-জামায়াত যে জঙ্গিবাদের পক্ষাবলম্বন করে তা বিশ্ববাসীকে জানাবো।
সাজ-সজ্জা উপ-কমিটির সদস্য সচিব, পাটপ্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ হবে। এর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং গৌরব বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে।
সম্মেলনে খরচ আড়াই কোটি টাকা:
দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা খরচ নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে বাজেট সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সম্মেলনে ডিজিটাল ছোঁয়া
ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সম্মেলনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাজসজ্জার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতেও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ছাপ পড়েছে। ২০তম জাতীয় কাউন্সিল সরাসরি ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হবে।
এ ব্যাপারে দলীয় নেতারা বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল হিসাবে গড়ে তোলার মূল ভূমিকা রেখেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়। সেই দলের জাতীয় সম্মেলনে ডিজিটালের ছোঁয়াতো থাকবেই।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ডিজিটালের ছোঁয়া থাকবে না এটা কি করে হয়? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিজস্ব ফেসবুক পেজে সম্মেলন সরাসরি দেখা যাবে। যে কেউ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সম্মেলন সরাসরি দেখতে পারবেন। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল সাইট হচ্ছে, http://bit.ly/ALBDJoinUs  । তবে ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সম্মেলন সরাসরি দেখতে এ লিংকে ক্লিক করতে হবে। https:/ww/w.facebook.com/events/190591254683432/। সম্মেলনে ৫০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট বসার ব্যবস্থা থাকবে। তাদের সুবিধার্থে ১৬ টি বড় পর্দায় সম্মেলন দেখানো হবে।
এদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ডাক দেয়া দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরা তাদের ফেসবুকে ছবিতে বিশেষ ব্যাজ সংযুক্ত করছেন। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, অনলাইনে অংশগ্রহণ এবং সমর্থন জানানোর জন্য http://badge.albd.org  এ গেলে  ফেসবুক ফটোতে ব্যাজটি সংযুক্ত করা যাবে। এরপর সেই ফটোকে করা যাবে প্রোফাইল পিকচার ।
ব্যাজটিতে একদিকে লেখা আছে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন, অন্যদিকে এবারের সম্মেলনের শ্লোগান: ‘উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।’ ব্যাজের উপরের দিকে আওয়ামী লীগের লোগোও আছে।
মোবাইলফোনেও এসএমএস পাঠাবে আ.লীগ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দেশের সব মোবাইলফোন অপারেটর থেকে বিশেষ একটি এসএমএস পাঠাবে দলটি। জনসাধারণকে জানাতে দলীয় প্রধানের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সারাদেশের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মোবাইলফোনে এসএমএস পাঠানোর এ পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের প্রায় ১২ কোটি মানুষের মোবাইলফোনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের এই এসএমএস যাবে।
মোবাইল ফোনে পাঠানো এসএমএসে লেখা থাকবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এড়িয়ে চলেছে দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথাউঁচু করে দাঁড়াবার। আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় কাউন্সিলে এই প্রত্যয়কে ধারণ করে আসুন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
এসএমএস পাঠানো কথা স্বীকার করে প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক এইচটি ইমাম বলেন, আমরা মোবাইলফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একটি এসএমএস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে ব্যাপক প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ শুরু হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় ইতোমধ্যে বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচার করা হচ্ছে। চলছে ফেসবুক ও আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজেও ব্যাপক প্রচারণা। ফেসবুক ব্যবহার করে দলের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই।  
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র বিটিসিএল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা-ক, ৬৯৩ কিলোহার্জ ও এফএম ১০৩.২ মেগাহার্জে সরাসরি সম্প্রচার করবে।
রাজধানীতে থাকবে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল
আগামীকাল শনি ও রোববার দুইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর একটি বড় অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার ইউসুফ আলী।




 

Show all comments
  • সুফিয়ান ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৩৮ এএম says : 0
    জনভোগান্তির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ইব্রাহিম ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ২:৩৪ পিএম says : 0
    সম্মেলনের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।
    Total Reply(0) Reply
  • মুনিয়া ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ২:৩৫ পিএম says : 0
    এবারের সম্মেলনের শ্লোগানটা সুন্দর হয়েছে।
    Total Reply(1) Reply
    • jahid ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ২:৩৭ পিএম says : 4
      slogan ta sundor. tobe bastobota ki serokom ?
  • কাওসার আহমেদ ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ২:৪০ পিএম says : 0
    আগুন সন্ত্রাসের ব্যাপারে মানুষ ভালো করেই জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • তিশা ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ২:৪১ পিএম says : 0
    এবারের বড় আকর্ষণ সজীব ওয়াজেদ জয়............
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ