Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের বন্দরে কন্টেইনারে বাংলাদেশী যুবক

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১১ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সিঙ্গাপুরের পর এবার ভারতের বন্দরে খালি কন্টেইনারে মিললো বাংলাদেশী এক যুবক। অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তম বন্দরে একটি খালি কন্টেইনারের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যুবকের নাম রোহান হোসেন। তিনি ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভারতের দ্যা হিন্দু ও দ্যা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ সেদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়। ভারতের তেলেগু ভাষার টিভি নাইন ও এনটিভিতে রোহান হোসেনের সাক্ষাৎকারও প্রচার করা হয়েছে।
এসব গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়েছে রোহান হোসেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ওই খালি কন্টেইনারে উঠেছিল এবং কমপক্ষে ১২ দিন পর তার সন্ধান পাওয়া গেছে। দ্যা হিন্দু’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশাখাপত্তম ভিত্তিক সামসারা শিপিং লিমিটেডের নামে ওই খালি কন্টেইনারটি বুকিং করা ছিল।
বিশাখাপত্তম পুলিশের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই বন্দরের বিশাখা কন্টেইনার প্রাইভেট লিমিটেড (ভিসিটিপিএল) এর কর্মকর্তারা কন্টেইনারে থাকা রোহান হোসেনের সন্ধান পায়। স্থানীয় পুলিশ কন্টেইনারটি খুললে রোহানকে অর্ধচেতন এবং পানি শূণ্যতায় কাতর অবস্থায় পাওয়া যায়।
সেখানকার পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রোহান হোসেনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সে খালি কন্টেইনারে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছে। সুস্থ হলে তাকে বাড়ি পাঠানো হবে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, রোহান এখন পুলিশের তত্ত্বাবধানে বিশাখাপত্তমের কিং জর্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) আবদুল গাফফার বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা শুনেছি। বিষয়টা খুবই মিস্টিরিয়াস। কন্টেইনারে করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কেন যাবে? সব বিষয়েই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিশাখাপত্তম বন্দরের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের টিভিনাইনকে হিন্দিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে রোহান বলেন, কোনো এক ব্যক্তি তাকে কন্টেইনারে উঠে শুয়ে পড়তে বলে। কারণ তা না হলে গাড়ি (কন্টেইনার ওঠা-নামা করানোর যন্ত্র) ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবে। কন্টেইনারে উঠে ঘুমিয়ে যেতে বলে। আরও বলে, ১-১২ দিন পর টার্মিনাল থেকে বের হওয়া যাবে।
ভারতীয় এনটিভিকে হিন্দিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে রোহান বলেন, কন্টেইনারে আটকা পড়েছি। ১২ দিন পর সেখান থেকে বের হতে পেরেছি। ঢাকায় সে এসি মেকানিকের কাজ করে বলে জানায় ওই টিভিকে।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩ নম্বর জেটি থেকে জসিম উদ্দিন (১৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তারের পর ছয় মাসের কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে বন্দরে রাখা একটি খালি কন্টেইনার থেকে বেরিয়ে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করছিল। জাহাজে চড়ে সে বিদেশে যেতে চেয়েছিল।
২০১১ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে রাখা একটি খালি কন্টেইনারে ঢুকে আটকা পড়েন দ্বীন ইসলাম ও আল আমিন নামের দুই বন্দর শ্রমিক। ওই কনন্টেইনারে সে অবস্থাতেই জাহাজটি সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর পর আল আমীনের লাশ ও দ্বীন ইসলামকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই বছরেই অক্টোবরে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় দ্বীন ইসলামকে।



 

Show all comments
  • Mahmud ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৩৭ এএম says : 0
    bisoyti bujlam na
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের বন্দরে কন্টেইনারে বাংলাদেশী যুবক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ