পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই হত্যার জন্য আইনমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও হুকুমের আসামী হবেন। আমরা খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যা দেখেছি সম্প্রতিককালে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের নজরে আসেনি। খালেদা জিয়া কতক্ষণ, কয় মিনিট, কয় দিন বাঁচবেন সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে এটা বলতে পারি খালেদা জিয়া চরম ক্রান্তিকালে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল, তাকে অতিদ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আহবান জানানা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাজধানীর নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি এবং নাগরিক সমাজের নেতারা।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে আছে। যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারেন। মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন চিকিৎসক আমাকে বিস্তারিত বলেছে। আমি তাদের ফাইল এর প্রত্যেকটা লেখা পড়ে দেখেছি। উনার মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। ব্লাড প্রেশার একশোর নিচে নেমে এসেছে। আমি গিয়ে দেখেছি বেগম জিয়াকে রক্ত দেয়া হচ্ছে। আমি ফাইলের প্রত্যেকটা লাইন দেখেছি, কারো মুখের কথায় কিছু বলছি না। সম্ভব হলে আজকে (গতকাল) রাতেই ওনাকে বিদেশে ফ্লাই করা উচিত। আর না হলে যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।
প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য দেশের বাইরে যান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার একটা দায়িত্ব আছে। আপনি বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারতেন। আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর কোনো বাড়াবাড়ি কইরেন না। একজন মৃত্যুপথযাত্রীর জীবনটা রক্ষা করেন। এখন আর কোনো ভানুমতির খেলা দেখাইয়েন না। অনুগ্রহ করে আজকেই বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। এসময় প্রধান বিচারপতিকে হাসপাতালে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে আসারও আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টেকানোর জন্য হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এইভাবে যদি বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে, রাষ্ট্রের ভিত্তি, নাগরিকদের অধিকারের ভিত্তিতে একটা রাষ্ট্র যেভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক, ঐক্য টিকিয়ে রাখে তাকে লংঘন করা হবে। ফলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।