পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। যৌতুকের দাবিতে টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল এবং সরকারপক্ষের ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম.আশরাফুল ইসলাম। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ।
ডিএজি হারুনুর রশিদ জানান, ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ব্যবসা করার কথা বলে তার স্ত্রী খোদেজা বেগমের কাছে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দানি করেন। স্বামীর কথা মতো খোদেজা বাবার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা এনে দেন। এতে আবুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী জালানী বেগম মিলে খোদেজাকে বেদম মারধর করেন। একপর্যায়ে খোদেজা বেগম মারা যান। এ ঘটনায় নিহত খোদেজার চাচা শহিদুল ইসলাম শহীদ বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আবুল হোসেন ও জালানী বেগমকে গ্রেফতার করে। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালে ৯ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ রায় দেন। রায়ে আবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে জালানি বেগমকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আসামি জেল আপিল করেন। উভয় আবেদনের শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।