Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ২ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশের পাশাপাশি নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

এছাড়া কোম্পানিগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারার অধীনে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়া জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হবে নাÑ রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল এবং আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ১২ জুন মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, এবং সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসানের পক্ষে এ রিট করা হয়।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইলফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন।

গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। এর ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দুর্বল যে, অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবহার করা যায় না। অথচ, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি। এ বিষয়ে বছরে সাড়ে ৫ লাখ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসিতে, কিন্তু গ্রাহকরা এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্টের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ