Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালের ওষুধ যায় কোথায়?

৯৭ শতাংশ রোগী বাইরে থেকে ওষুধ ক্রয় করেন রোগীদের ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসাব্যয় নির্বাহ করতে হয় ৮৬ শতাংশ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সুচিকিৎসা পাওয়া দেশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সুচিকিৎসা দূরের কথা চিকিৎসা কি পাচ্ছেন? সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আর দালালদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে রোগীদের পকেট কাটা হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতিটি হাসপাতালে সরকারি ওষুধ দেয়ার কথা থাকলেও রোগীদের বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। সরকারি হাসপাতালগুলোর এটা নিত্য চিত্র। এমনকি রোগীদের যে খাবার দেয়া হয় সেখানেও বখরা খান প্রশাসনের কিছু ব্যাক্তি। এ নিয়ে রোগীদের অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে দারোয়ান পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকায় রোগীরা কোনো প্রতিকার পান না। এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এক গবেষণায়। গবেষণায় জানানো হয়, অনেক রোগীর চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে ভিটে-জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ যায় কোথায়?

গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রবন্ধে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ৩ শতাংশ রোগী ওষুধ এবং ১৪.৯ শতাংশ রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা গ্রহণকারী ৯৭ শতাংশ রোগীকে টাকা খরচ করে ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় এবং ডায়াগনস্টিক ল্যাব থেকে সেবাগ্রহণ করতে হয়। ফলে রোগীর ব্যয় বেড়ে যায় এবং প্রায়ই রোগী আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রফেসর ডা. আবুল। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

এসময় গবেষণাপত্রের অবহিতকরণের ওপর দুটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। বলা হয়, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অর্থ কোনো প্রকার আর্থিক দুরবস্থায় না পড়ে সমাজের প্রতিটি মানুষ যেন তার প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করা। এর তিনটি দিক রয়েছে। প্রথমটি হলো, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া; প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের কারণে সৃষ্ট আর্থিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা।

প্রথম দুটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্যে দেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সেবায় উন্নতির ফলে সূচকে দেখা গেছে অভাবনীয় সাফল্য, মিলেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। কিন্তু তৃতীয় ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে বাংলাদেশ বহুদূর পিছিয়ে রয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশে রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় ছিল ৬৪ ভাগ। ২০৩২ সালের মধ্যে এই ব্যয় ৩২ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল: ২০১২-৩২ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে এই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭ ভাগ।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করতে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘নিজ পকেট থেকে গৃহস্থালি ব্যয় সংকোচনের কৌশল’ শীর্ষক টেকনিক্যাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্টের অবহিতকরণ কর্মশালাই এদিন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্ট সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের বাজেট কম। একইসঙ্গে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন প্রতি স্বাস্থ্য খাতে খরচ সবচেয়ে কম (৪৫ ডলার)। শুধুমাত্র সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে এর সমাধান সম্ভব না। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খরচ করার দক্ষতা থাকতে হবে যাতে করে বাজেট অব্যবহৃত থেকে না যায়।

তিনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনায় দেখান, সামাজিক স্বাস্থ্য বীমার প্রচলনের মাধ্যমে চীন, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বহু দেশ তাদের স্বাস্থ্য খাতে রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় কমিয়ে এনেছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যা একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে। ওওপি কমিয়ে আনতে হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে আরো শক্তিশালী করার দিকে জোর দিতে হবে।

সুব্রত পাল আরো বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের তথ্য মতে দেশের সবচেয়ে বেশি খরচ হয় ওষুধ কিনতে। ফলে এ ক্ষেত্রে সরকারের সঠিক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দেশের ওওপি কমিয়ে আনবে বহুলাংশে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. নুরুল আমিন ‘রোগী নিজ পকেট থেকে চিকিৎসার জন্য উচ্চ ব্যয়ের নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান’ শীর্ষক দ্বিতীয় গবেষণা প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয়ের প্রধান উৎস হলো ওষুধ। এই খাতে ব্যয় প্রায় ৬৪ ভাগ। হাসপাতালে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ থেকে সেবা নেয়ার মাধ্যমে যথাক্রমে ১২ ও ১১ ভাগ ব্যয় হয়। এ ছাড়া, রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা খাতে ব্যয় ৮ ভাগ। গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যথাযথ কার্যকর না হওয়ায় এবং শহর এলাকায় পর্যাপ্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না থাকায় রোগী বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা গ্রহণে বাধ্য হন। তা ছাড়া, সরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ ওষুধ প্রদান করা হয় না এবং রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে না।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মাত্র ৩ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ পান এবং ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে হয়ে থাকে। অধিকাংশ রোগীকে বেসরকারি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হয় এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সেবা নিতে হয়। এতে রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় বেড়ে যায় এবং প্রায়ই রোগী আর্থিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রায় সব ধরনের ওষুধ কেনার সুযোগ থাকায় এবং ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর মাত্রাতিরিক্ত বিপণনের ফলে স্বীকৃত চিকিৎসকদের পাশাপাশি পল্লী ও হাতুড়ে ডাক্তাররাও ব্যবস্থাপত্রে অতিমাত্রায় ওষুধ লেখেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করায় রোগীর ব্যয় বেড়ে যায়। জরুরি ওষুধের তালিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপত্রে প্রটোকল অনুসরণ করে কোম্পানির ওষুধের ‘ব্র্যান্ড নাম’ ব্যবহারের পরিবর্তে ‘জেনেরিক নাম’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে এ ব্যায়ের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।

বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাক্রিডিটেশন পদ্ধতি এবং এর সেবা মান ও মূল্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় সেবা গ্রহণকারী জনগণ প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে বিষয়ে রোগীদের অসন্তুষ্টি ও কখনও কখনও আস্থার ঘাটতি তাদের দেশের পরিবর্তে বিদেশ থেকে সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করে। এভাবে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে অনেক মানুষ ভিটে-জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন।
রোগীর নিজ পকেট থেকে ব্যয় হ্রাস ও রোগীকে আর্থিক বিপর্যয় থেকে করার লক্ষ্যে ই-হেলথ চালুর মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সমন্বিত সেবা পদ্ধতি চালুকরণ; প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও পদায়ন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সক্ষমতা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীতকরণ; বেসরকারি হাসপাতালের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন পদ্ধতি চালু ও সেবার মূল্য ও মান নিয়ন্ত্রণে সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধি; জরুরি ওষুধের তালিকা হালনাগাদকরণ ও সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলককরণ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) বা সামাজিক স্বাস্থ্য বিমা চালু ও সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ক্যান্সার, কিডনী, হার্ট, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের (এনসিডিসি) কারণেই বর্তমানে দেশের মানুষের আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগগুলোতে প্রতি বছর দেশে সর্বাধিক মৃত্যুসহ অনেক পরিবার প্রায় নিঃস্ব হয়ে যায়। এই ব্যাপারটির গুরুত্ব অনুধাবন করেই দেশের আট বিভাগেই আটটি উন্নত মানের ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনী, লিভার চিকিৎসার হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। হাসপাতাল নির্মাণ কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে আছে। এসব হাসপাতালে হাজারো রোগী বিনা খরচে এরকম নন-কমিউনিকেবল ডিজিজগুলোর চিকিৎসা লাভ করবে। এতে করে দেশের মানুষের আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার অনেকাংশেই কমে যাবে।

স্বাস্থ্যামন্ত্রী এসময় দেশে করোনায় গত প্রায় ৬শ’ দিনের মধ্যে ১ম মৃত্যু শূন্য হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশবাসীকে অভিবাদন জানান এবং এটিকে দেশের জন্য একটি বড় সফলতা বলে উল্লেখ করেন। স্বাস্থ্যামন্ত্রী বলেন, রাশিয়াসহ বিশে^র বহু দেশেই মৃত্যুহার এখনো ঊর্ধ্বমূখী। অনেক দেশ লকডাউনে যাচ্ছে। সে সময় বাংলাদেশ করোনায় মৃত্যু শূন্য হলো। এটি স্বাস্থ্য খাতের সফল পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের ফসল। তবে, আমাদেরকে কোনোভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভোগা যাবে না। কারণ, এটি যাতে আবারো বড় কোনো আঘাত হানতে না পারে সেজন্য কাজ করতে হবে।



 

Show all comments
  • Sajib Hossain Joy ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১২ এএম says : 0
    এরা সব বিক্রি করে দেয়।রোগীদের বড়জোর ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল আর ৫০ পয়সার বি কমপ্লেক্স ধরিয়ে দেয়। আর ডায়াগনস্টিকে টেস্ট করিয়ে ওখান থেকে কমিশন পায়, সরকারি হসপিটালের চিত্রটা এমনই।
    Total Reply(0) Reply
  • Dipok Roy ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১২ এএম says : 0
    নার্স দের বাসায়,, ডাক্তারদের নিজ ক্লিনিকে,,, ডাক্তারদের নিজস্ব কোন ভাই ব্রাদার এর ফার্মেসি তে,,
    Total Reply(0) Reply
  • Sarker MD Kajal ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১২ এএম says : 0
    কেন আপনি জানেন না? হাসপাতালের পরিচালনা পরিশদের সবাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাই তাদের বাসায় পৌছে দেওয়া হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohidul Islam ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১২ এএম says : 0
    হাসপাতালে কোন প্রকার ঔষধ দেওয়া হয় না ৷
    Total Reply(0) Reply
  • Mithun Talukder ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১৩ এএম says : 0
    এগুলা বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়?
    Total Reply(0) Reply
  • Neel Kosto ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১৩ এএম says : 0
    সারা দেশে সরকারের চোর গুলো গরীবের হক মেরে দিচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাসপাতালের ওষুধ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ