Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দরিদ্রের কার্ড বিত্তবানের নামে

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ নিয়ে এন্তার অভিযোগ
ইনকিলাব ডেস্ক : হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কর্মসূচি নিয়ে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলছেই। কোথাও দরিদ্রদের কার্ড দেয়া হচ্ছে বিত্তবানদের নামে, কোথাও দাবি করা হচ্ছে উৎকোচ, কোথাও আবার ঘটছে চাল আত্মসাতের ও উদ্ধারের ঘটনা। দরিদ্রদের চাল নিয়ে তেলেসমাতি কারবারে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চয় হয়েছে।
১০ টাকার চাল যাচ্ছে ধনীদের পেটে
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা মূল্যের চালে কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত ধনী ও নিজ সমর্থকদের নামে তালিকা করেছেন চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে না দরিদ্ররা। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বঞ্চিতদের মাঝে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে।
অভিযোগে জানা গেছে, পাইকপাড়া ইউনিয়নে গরিবদের বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের নিজস্ব ও ধনী লোকদের নামে তালিকা করেছেন। এছাড়াও এক ব্যক্তি একাধিক কার্ড পেয়েছে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাইকপাড়া ইউনিয়নের দামেরচর গ্রামের রাজা মিয়া মাতুব্বরের স্ত্রী মালতি বেগমের নামে দুটি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। একটি কার্ডের সিরিয়াল নং ১৯৫ এবং আরেকটি কার্ডের সিরিয়াল নং ২৩৯। তার বাড়িতে পাকা ঘর রয়েছে এবং ছেলে বিদেশ থাকে। কৃষ্ণপুর গ্রামের রাঙ্গা মাতুব্বর, এসকেন মোড়ল, বন্দর আলি সরদার, দামেরচর গ্রামের নুরু কাজী, কাঠুরাকান্দা গ্রামের নাজমা বেগম, সহিদুল, দক্ষিণ সারিস্তাবাদ গ্রামের ফাহিমা বেগম, মাঝকান্দার ফুলতলা গ্রামের মোতালেব একাধিক কার্ড পেয়েছে। আবার শ্রিফলতলী গ্রামের সাবেক মহিলা মেম্বারের মেয়ে সেতু বেগম কার্ড পেয়েছে। তার আধাপাকা বাড়ি, টিভি, ফ্রিজ এবং জমিজমা রয়েছে।
দামেরচর গ্রামের শেফালি বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই, আমার কোনো জমি জমাও নেই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমার সংসার চলে। বড় কোনো ছেলে মেয়েও নেই। আমি কার্ড পাইনি। একই গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, আমি গরিব মানুষ আমি কার্ড পাইনি কিন্তু যাদের পাকা ঘর আছে, ছেলেরা বিদেশ থাকে এমন অনেকেই কার্ড পেয়েছে। এভাবেই জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রকৃত হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
উৎকোচ দাবি করায় যুবকের কারাদ-
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম(৩২)কে ভিজিডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগে ১৫ দিনের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিনে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সেলিম রেজা। সূত্রে জানায়, নলকুড়া ইউনিয়েনের বড় রাংটিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫)-এর নিকট ভিজিডি কার্ড দেয়ার আশ্বাসে ১ হাজার টাকা
উৎকোচ দাবি করে, দাবিকৃত টাকা না দিলে তাকে ভিজিডি কার্ড প্রদান করা হবে না। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনোয়ারা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সাকে জানালে, ইউপি চেয়ারম্যান দ-প্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে এনে বিষয়টির সর্ম্পকে সত্যতা পান।
নাঙ্গলকোটে চাল আত্মসাতে ডিলারশিপ বাতিল
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ওজমে কম দেয়ার অভিযোগে ডিলারশিপ বাতিল করে গুদাম সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের উত্তর আলিয়ারা এলাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গতকাল বুধবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে নিযুক্ত ডিলার শহিদুল ইসলাম কর্তৃক চাল বিতরণকালে প্রতি জনকে ২/৩ কেজি হারে ওজনে কম দেয়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে ডিলারের গুদাম সিলগালা করে ডিলারশিপ বাতিল করেন।
নান্দাইলে চাল আটক
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইল ইউনিয়নের দাতারাটিয়া বাজার হতে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের বিক্রির জন্য উত্তোলনকৃত চাল বিক্রি না করে বস্তা কালো বাজারে বিক্রির জন্য ঘরে মজুত করে। গোপন সূত্রের মাধ্যমে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহানূর আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামিম আল ইয়ামীন থানা পুলিশের সহযোগিতায় বস্তা সরকারি চাল (টন) চাল আটক করে। এ ব্যাপারে ডিলার ও ইউনিয়ন সদস্যকে আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় নান্দাইল মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া চড়ার বাঁধ এলাকায় কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে দশ টাকা কেজি দরের ৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। কোস্টগার্ড গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ চাল উদ্ধার করে।
কোস্টগার্ড পশ্চিমজোন এবং এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় চড়ারবাঁধ এলাকায় একটি ট্রলারে বিপুল পরিমাণ চাল পাচার হচ্ছে এমন খবরে এলাকাবাসী ঘটনার সত্যতা পেয়ে কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। এসময় কোস্টগার্ডের ডেপুটি অফিসার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কপিলমুনি এলাকার ইসমাইল সরদারের মালবাহী ট্রলার থেকে ৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার করে। উক্ত চাল বাজুয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে কপিলমুনি বাজারের জনৈক রামপ্রসাদ এবং বিকাশ সাধুর আড়তে বিক্রয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছিল বলে কোষ্টগার্ড জানায়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পঞ্চগড়ে চাল নিয়ে নানা অভিযোগ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে ও হতদরিদ্র ও দুস্থদের ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রদানের তালিকা তৈরি ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকা বাছাই কমিটির সদস্যদের স্বজনপ্রীতির কারণে দুস্থদের চাল চলে যাচ্ছে সচ্ছল পরিবার ও বিত্তবানদের ঘরে। এনিয়ে বিভিন্ন এলাকার দুস্থদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে সরকারের খাদ্যবান্ধব আলোচিত এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০ ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড পেয়েছেন মাত্র পাঁচজন। বাদ দেয়া হয়েছে ওই এলাকার আফজাল হোসেন নামে এক দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকেও। দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত এই চাল পেয়েছেন পাশের গ্রামের করিম, আতাউরসহ পাকা বাড়ির মালিক আর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা। পাশের গ্রামের মাহানপাড়ার পাকা বাড়ির মালিক তহিদুল ইসলাম বিশেষ কারণে এই চালের কার্ড পেলেও প্রতিবেশী সত্তরোর্ধ জঙ্গলু মোহাম্মদের ভাগ্যে জোটেনি ১০ টাকা কেজি দরের চাল। শুধু বিত্তবান তহিদুল নয়, ওই এলাকার সচ্ছল ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, আজুল প্রধান, আবুল প্রধান নামে কয়েকজন এই চাল উত্তোলন করেছেন। সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আতাউর রহমান নামে এক নেতা তার পরিবারের ১১ জনের নামে কার্ড করিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সখিপুরে ডিলারদের অনিয়ম-দুর্নীতি
সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৮ জন হতদরিদ্রকে ১৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলাররা হলোÑ কাকড়াজান ইউনিয়নে আঃগফুর, লেবু মিয়া, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে কামরুল, শাহালম, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে সরোয়ার, জাকির, শামসুদ্দোহা হাতীবান্ধা ইউনিয়নে ফজলুর রহমান ফজল, বাবুল যাদবপুর ইউনিয়নে সোহরাব, আইয়ুব, বেলায়েত বহুরিয়া ইউনিয়নে রহিম, মোশারফ গজারিয়া ইউনিয়নে হাবীব,মাসুদ এবং কালিয়া ইউনিয়নে রুহুল, বাবুলÑ এই আঠারজন ডিলার। প্রতি ইউনিয়নে ১ হাজার ৩শত ৮১ জন হিসাবে ৮ ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৮ জন হতদরিদ্র কার্ডধারী ১০টাকা কেজি হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবে বলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়। পরিমাপে কম, ইউপি সদস্য কর্তৃক ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে কার্ড প্রদান, কালোবাজারে বিক্রি, কার্ড থাকে ডিলারের নিকট, একজনের নামে ডিলার আরেকজন চাল বিক্রি করছে, কার্ড ডিলারের নিকট থাকায় অনেক কার্ডধারী জানেই না কোথা থেকে ১০টাকা কেজি চাল দিচ্ছে, ডিলার পয়েন্টে কোনো ব্যানার নেই, যেখান থেকে ১০ টাকা কেজি হিসাবে চাল উত্তোলন করছে সেখানেই চালের বেপারীর নিকট বিক্রি করছে-এ রকম নানা অভিযোগের অন্ত নেই।
১০ টাকার চাল পাচ্ছে না হতদরিদ্ররা
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে মজিবুর নামের সাবেক এক ডিলারের চালবাজিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন না হতদরিদ্ররা। বর্তমান ডিলার ও জাতীয় পার্টির স্থানীয় ইউনিয়ন আহবায়ক শহীদুলকে ফাঁসাতে কার্ডধারী দরিদ্রদের টিপসই জাল করে সাবেক ডিলার অভিযোগ করায় বন্ধ রয়েছে ফেয়ার প্রাইজের ১০ টাকা কেজি চাল। এতে করে ৩ হাজার ৬৯০ জন ফেয়ার প্রাইস কার্ডধারী হতদরিদ্র চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা যায়, স্থানীয় ভাবখালী ইউনিয়নে গত সেপ্টেম্বরে ফেয়ার প্রাইসের ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান শহীদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা। পরবর্তীতে এ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬৯০ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ফেয়ার প্রাইসের কার্ড বিতরণ করা হয়।
প্রথম দফায় সেপ্টেম্বর মাসে শহীদুল ১ হাজার ৭২৫ জন কার্ডধারীর মাঝে ৫১ হাজার ৭৫০ কেজি এবং মোস্তফা ১ হাজার ৭০৭ জনের মাঝে ৩০ কেজি করে ৫১ হাজার ২১০ কেজি চাল বিতরণ করেন। কিন্তু ডিলার নিয়োগ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঞ্চিত হয়ে শহীদুলকে ফাঁসাতে নানা কুটকৌশলের আশ্রয় নেয় ডিলার মজিবুর।
ওই সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ জন হতদরিদ্রদের কাছ থেকে ফেয়ার প্রাইসের ৭টি কার্ড হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে তাদের টিপসই জাল করে তারা স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে চাল না পাওয়ার ভ্রান্ত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একটি ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দু’টি তদন্ত কমিটির কাছেই অভিযোগকারীরা জানান, আসলে তারা অভিযোগকারী নন। মূলত তাদের টিপসই জাল করেই ব্যক্তি আক্রোশের জের ধরে মজিবুর ডিলার এ কাজ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দরিদ্রের কার্ড বিত্তবানের নামে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ