পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সচিবের নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর এই প্রতিনিধিদল উন্নয়নশীল দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষার ওপর জ্ঞান অর্জনের জন্য এ শিক্ষা সফর করবেন। এ সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করে অর্জিত জ্ঞান দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষায় কাজে লাগাবেন। কিন্তু অবাক কা- হচ্ছে এই ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন মাত্র একজন ভেটেরিয়ান। বাকিরা সবাই সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা প্রকল্পের শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর আগেই চাকরি থেকে অবসরে যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলনেতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান। যিনি আগামী বছরের শুরুতে চাকরি থেকে অবসর নেবেন। পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি-পানিসম্পদ ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের চিফ সরদার ইলিয়াস হোসেনও অবসরে যাবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। প্রতিনিধিদলের সদস্য আইএমইডির মহাপরিচালক মো: সেফাউল আলম অবসরে যাবেন এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় অবসরে যাবেন ২৫ নভেম্বর। আর মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান অবসরে যাবেন আগামী বছরের জুন মাসে। এছাড়া ব্যক্তি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিও বত্যয় ঘটানো হয়েছে বলেও প্রকল্পের সাবেক পিডি জানান। কারণ অনুমোদিত ডিপিপিতে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিবের পদটি অন্তর্ভুক্ত নেই।
জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়তব্য সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নশীল দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষার ওপর জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা সফরের জন্য ১ কোটি টাকা সংস্থান রাখা আছে। প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়তব্য সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন প্রকল্পটি আগামী জুন-২০১৮ সালে সমাপ্ত হবে এবং আগামী জুন-২০১৮ হতে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে যদি প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়িত হয়।
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ আলোচ্য প্রকল্পের শিক্ষাকার্যক্রমে কোনো কাজে আসবে না। এছাড়া অন্য ৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৩ জন ও যে কোনো সময় অন্যত্র বদলি হতে পারেন। তদুপরি তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রাণিসম্পদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো কাজে আসবে না। সে বিবেচনায় এ ভ্রমণটি বিলাস ভ্রমণ হিসেবে অথবা সরকারি টাকায় আমেরিকা ভ্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, এ ধরনের শিক্ষা সফরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সফরের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরে প্রতিমন্ত্রী আপত্তি জানান। প্রতিমন্ত্রী নথিটি দীর্ঘদিন আটকে রাখলে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও যুগ্ম প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে পাশ কাটিয়ে সারসংক্ষেপে প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর না নিয়েই মন্ত্রীর মাধ্যমে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এ বিষয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।