পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে ১৪ নভেম্বর থেকে নগরীতে কোনো ধরনের ‘সিটিং সার্ভিস’ অথবা ‘গেটলক সার্ভিস’ বাসের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। অপরদিকে ভাড়া বাড়ানোর কারণে প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ইচ্ছে মতো রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তাই ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও বাসের হাফপাস ভাড়ার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মহাখালীতে রাস্তায় নামা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মহাখালী তিতুমীর কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাস্তায় অবস্থান করার ১০-১৫ মিনিট পর তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ৪০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের (সাবেক) ভিপি নুরের (নুরুল হক নুর) লোক ও বহিরাগত বলে মারধোর করেন।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিতুমীর কলেজের সামনে ও এর আশপাশের এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে বাসে শিক্ষার্থীদের হাফপাস ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাস্তায় যানচলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের আরেকটি গ্রুপ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পরে দুই পক্ষই পুলিশ আসার আগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়।
ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ বলেন, তিতুমীর কলেজ ও আশপাশের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাসে হাফপাস ভাড়ার দাবিতে বেলা এগারটার দিকে আন্দোলন করছিলেন। রাস্তা অবরোধ করে তারা এ আন্দোলন করছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের আরেকটা গ্রুপের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পাঠাই। কিন্তু টিম পৌঁছার আগেই শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, মিরপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কমে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অনেকে হেঁটে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর-১, ১০, ১১, ১২, কালশি, পূরবী, সিরামিক রোডে যাত্রীবাহী বাস কম। রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে হেঁটে যাচ্ছেন শতশত মানুষ। তবে মিরপুর ১২ নম্বরের প্রধান সড়কে বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। একইভাবে উত্তরা এবং গুলশান থেকেও মিরপুরগামী বাস চলাচল কমে গেছে।
গুলশান থেকে মিরপুর ১০ নম্বরে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিনুল ইসলাম। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি। আলাপকালে তিনি বলেন, অন্যান্য দিন কিছুক্ষণ পরপরই মিরপুরের বাস পেতাম। কিন্তু গতকাল বাসের দেখা ছিল না। শুনেছি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে মিরপুরগামী বাস কমে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন হয়রানি বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া উচিৎ। পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, পল্লবী এলাকায় বাস চলছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা কম।
তবে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দূরপাল্লার পরিবহন ও নগরীর গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তারা বাড়িয়েছে ২৭ শতাংশ অপরদিকে নতুন ভাড়ার ওপর সিটিং বাসগুলো ভাড়া নির্ধারণ করেছে ১৫ শতাংশ। এই নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবহন চালক-হেলপাররা বলছেন, প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে। নতুন ভাড়া অনুযায়ী যাত্রীরা দিতে চাচ্ছে না। এদিকে পরিবহনের মালিকরাও পরিবহনের জমা ভাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন। এখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দিনে ৪টি ট্রিপ দিলে তেল খরচসহ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনও ওঠে না। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।