পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো সারাদেশে ৪ হাজার ২৭৯ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল প্রথম দফায় ৭৫২ ইউপির তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হলো। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে ৬ দফায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফায় ৭৫২ ইউপির ভোটগ্রহণ করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার এই ছয়টি ধাপের ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করে স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণার দায়িত্ব দিয়েছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রথম দফায় ২২ মার্চের নির্বাচনে অংশ নিহে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে ২ মার্চ।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, সংশোধিত নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি বুধবার গেজেট আকারে জারি করা হয়েছে। এবার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা ও টিআইএন নম্বর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। বিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের নির্ধারিত জামানত দিতে হবে। আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
ইসির বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম ধাপে ৭৫২ ইউপির ভোট হবে ২২ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ ৭১০টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে।
এইএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে এই তারিখ ঠিক করা হয়েছে। প্রথম দফার তফসিল কমিশন ঠিক করেছে। বাকিগুলো স্থানীয় পর্যায়ে ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবারই প্রথম দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ভোট হচ্ছে। চেয়ারম্যান পদে নিবন্ধিত দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে। চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন দলীয়ভাবে হলেও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ভোট হবে নির্দলীয়ভাবে।
তফসিল নিয়ে কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ইসি সচিবালয়ের তার কার্যালয়ে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনেও কিছু কিছু গাফিলতির ঘটনা ঘটেছিল, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আরো কঠোরভাবে তাদের হ্যান্ডল করবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলতে চাই, কেউ গাফিলতি করলে বা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেন তারা সুন্দরভাবেই নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে। তাই কেউ গাফিলতি করলে বা কারো পক্ষে কাজ করার চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব। তবে এখন ভোটার তালিকায় ছবি রয়েছে। তাই কেউ ইচ্ছা বরলেই অন্যজনের ভোট দিতে পারেন না। কেউ ব্যত্যয় করলে এবং আমাদের নজরে আসলে চরম ব্যবস্থা নেব।
নির্বাচনে গণমাধ্যম কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে- প্রশাসন না ইসির এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই- গণমাধ্যম আমাদের খবর জানানোর চেষ্টা করে। তাই তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেই খবর দেবে। কিন্তু বেশিক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থান করবে না।
এর আগে দেশে সব মিলিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে আটবার। সর্বশেষ ২০১১ সালে ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল প্রথম দফায় প্রায় ছয়শ’ ইউপিতে ভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় ৩১ মে থেকে ৫ জুলাই তিন হাজার আটশ’র বেশি ইউপিতে নির্বাচন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।