পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কাঁচামালের চড়া দাম ও পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে আছেন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তারা। করোনা পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিক সুবিধা কাজে লাগাতে দরকার তৈরি পোশাকখাতের মতই নানামুখী বাণিজ্য সহায়তা। এদিকে, প্রায় দুই বছর পর মেলা করতে যাচ্ছে এসএমই ফাউন্ডেশন। যদিও উদ্যোক্তারা চান, শুধু মেলা নয় ,দরকার উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করা।
চলতি অর্থবছরের গেল তিন মাসে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের রফতানি আয়। যার প্রভাব পড়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসাতেও। উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে আবারও চাঙ্গা হচ্ছে ব্যবসা। কিন্তু তারা আছেন নানান অসুবিধায়।
বিএজির ম্যানেজিং পার্টনার আমিরুল ইসলাম বলেন, সময়মতো ইনহাউস করা এবং সময়মতো ডেলিভারী দেয়া ছাড়াও পণ্যের যথাযথ দামই নির্ধারণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন সম্ভবনায় এখন বড় বাঁধা আর্ন্তজাতিক বাজারে কাঁচা মালের চড়া দাম ও কন্টেইনারের বাড়তি ভাড়া। এ অবস্থায় বাণিজ্যিক সম্ভবনা কাজে লাগাতে তৈরি পোশাকখাতের মতই বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা চানক্ষুদ্র-মাঝারিখাতের উদ্যোক্তারা। আমিরুল ইসলাম বলেন, একই দেশে ব্যবসা করছি, অথচ লেদার পণ্যের জন্য একধরণের নীতি আর টেক্সটাইল পণ্যের জন্য আরেকধরণের নীতি। এই বিষয়েগুলোতে সমন্বয় দরকার বলে মনে করেন তিনি।
রফতানির ইতিবাচক সুফল দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের সবার কাছে পৌঁছে দিতে ডিসেম্বরে রাজধানীতে মেলা করতে যাচ্ছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন। এতে, তারা যেমন লাভবান হবেন, পাশাপাশি দেশের বিনিয়োগ আরো বাড়বে।
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, এ ধরণের মেলার পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে ক্রেতা-উদ্যোক্তার মতবিনিময়ের সুযোগ করে দিলে তা আরও বেশি কাজে দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।