পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতি ‘পূর্ণ আস্থা’ প্রকাশ করেছেন সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডন্ট এ আস্থা প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এবিষয়ে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর সাথে একমত প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
জিম ইয়ং কিম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক পুরোপুরিই অঙ্গীকারাবদ্ধ।
প্রেস সচিব জানান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিজ থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে তহবিল আরও বৃদ্ধির ব্যাপারে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তার (বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট) বিশ্বাস বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে সহজে ব্যবসা করার সুযোগ সম্পর্কে অন্য দেশগুলোর সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা দ্রুত উন্নয়ন চাই। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায় না বিগত বিএনপি সরকার এমন বক্তব্য দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নারীর ক্ষমতায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, চাকরি সব জায়গায় নারীরা এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, নারীরা এখন সরাসরি নির্বাচন করছে। সংসদে তাদের জন্য ৫০টি আসন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের মোবাইলসহ তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বিএনপি আমলে দলটির এক নেতার মনোপলি মোবাইল ব্যবসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সরকারে এসে মনোপলি ব্যবসায় ভেঙে দেই। এতে মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়েছে। যার সুবিধা মানুষ এখন পাচ্ছে।
১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশ পিছিয়ে গেছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে একটি সরকারি চ্যানেল ছিল আমরা এ খাততে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করি। এখন ২৪টি চ্যানেল চলছে। আরো অনেকগুলো অপেক্ষায় রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও ছিলেন, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সুবাস চন্দ্র গার্গ, অলটারনেট নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।