পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। তাদের এই সম্মেলনকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, তাদের এই সম্মেলন সফল হবে। একই সঙ্গে এটা আশা করি, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা তাদের ভূমিকা পালন করবেন। বিএনপি শুধু নয়, দেশের মানুষের একটাই প্রত্যাশাÑ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব উপযুক্ত ভূমিকা পালন করবে।
থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভুমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকালে বারিধারার থাই দূতাবাসে শোকবইতে স্বাক্ষর করার পর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের যেরকম অতীত ভূমিকা রয়েছে যে, তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আবার দুর্ভাগ্য হচ্ছে, তাদের হাতেই বারবার গণতন্ত্র আহত হয়েছে, বিঘিœত হয়েছে এবং গণতন্ত্র পরাজিত হয়েছে।
বর্তমান সঙ্কট সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে এ থেকে উত্তরণে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যেহেতু আওয়ামী লীগ এখন সরকারে আছে, উদ্যোগটা তাদেরই গ্রহণ করা উচিত। দেশকে আবার গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নিয়ে আসা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াÑ এই দায়িত্বটা তাদেরই পালন করা উচিত। আমরা আশা করব, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) সেই লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণভাবে করা হচ্ছে, বিএনপিকে যেভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী, পরিবেশ অনুযায়ী তাদের সম্মেলন ও কাযর্ক্রম করবেন। বিএনপি তো দীর্ঘকাল ধরে অভিযোগ করে আসছে, বিএনপিকে শুধু নয়, বিরোধী দলকে কোনো গণতান্ত্রিক পরিসর বা স্পেস দেয়া হচ্ছে না। শুধু সভা-সমাবেশের ব্যাপারেই নয়, সব ক্ষেত্রেই এখন গণতন্ত্র সংকুচিত শুধু নয়, গণতন্ত্র প্রায় নির্বাসিত হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য যে কাজটি করছে, সেই কাজটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে করার সুযোগ দেবে।
বিএনপি আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আমরা আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দারিদ্র্য জয়ের যে প্রশংসা করেছেন, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের যেটুকু সাফল্য এসেছে, এটা শুরু হয়েছে দীর্ঘকাল আগে। ’৭৪ সালে আওয়ামী লীগের আমলে যে দুর্ভিক্ষ হয়, সে সময়ে অনেকে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি, পরবর্তীকালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি তার ১৯ দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উৎপাদন-উন্নয়নের যে একটা জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন, একটা ধারা সৃষ্টি করেছিলেন, সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আপনারা বাংলাদেশকে দেখতে পারছেন। জিয়াউর রহমান একটা বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বেসরকারি খাতকে খুলে দিয়েছিলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটা প্রাণসঞ্চার করেছিলেন। আজকে গ্রামে যে বিদ্যুৎ দেখছেন, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড তিনিই গঠন করেছেন। গ্রামের অর্থনীতিকে সচল করার জন্য সব কর্মকা- নিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রামের দিকে।
তিনি বলেন, অনুন্নত এলাকা উন্নয়নে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে শহীদ জিয়াউর রহমান শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছেন। ওই সব অঞ্চলে শিল্পে বিনিয়োগের জন্য শতকরা ২ ভাগ রেটে সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। ফলে পরবর্তীতে দেখেছি, এসব অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠেছিল, কৃষিতে বিপ্লব হয়েছিল।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্রঋণের ধারণার প্রসঙ্গ টেনে অর্থনীতির শিক্ষক মির্জা ফখরুল বলেন, মাইক্রো ক্রেডিট অর্থাৎ মাইক্রো ফাইন্যান্স যেটা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ধারণা জিয়াউর রহমানের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল। তখনই গ্রামীণ অর্থনীতিতে পুঁজিকে নেয়ার একটা চেষ্টা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আমাদের অর্থনীতিতে একটা বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে, গ্রামীণ অর্থনীতি হচ্ছে বড় অর্থনীতি বাংলাদেশে। সে কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা মোমেন্টাম হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনের ব্যাপারটা যদি কেউ এককভাবে দাবি করেন, তাহলে এটা সঠিক হবে না। এটা শুরুটা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব। পরবর্তীকালে প্রতিটি সরকারই কাজ করেছে। বিশেষ করে, গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকসহ অন্য এনজিওগুলো দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
গ্রামে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্যতা দূর করার অগ্রগতির পেছনে সকলের কিন্তু অবদান রয়েছে। বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার আমলে গ্রামের ছেলে- মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ফুড ফর এডুকেশন চালু করেছিলেন। যেটাতে ৩০ কেজি গম পেত যদি সে তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাত। এটা একটা বড় রকমের ইনসেনটিভ ছিল। নারীদের বিনামূল্যে বইপত্র প্রদান, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তাদের অবৈতনিক লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমি মনে করি, এই ভিত্তিগুলোর জন্য আজকে গ্রামে দারিদ্র্যতা কমে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।