পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুরুতর ৫টিসহ ধারালো অস্ত্রের ১০টি আঘাত শরীরে
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগ নেতার চাপাতি হামলায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে ১৫ দিন পর প্রথমবারের মতো গতকাল সকালে তরল খাবার দেয়া হয়েছে। তার শরীরের ডান অংশ সঠিকভাবে নড়াচড়া করলেও বাম অংশে এখনো অবস রয়েছে। হামলার শিকার হয়ে খাদিজাকে যখন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার দেহে ধারালো অস্ত্রের ১০টি আঘাত ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল খুবই গুরুতর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি জানান, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে খাদিজার শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১০টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মারাত্মক। তবে মাথায় কতটি বা হাতে কতটি আঘাত রয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি। চাপাতি হামলার পর খাদিজা গুরুতর জখম হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন ৪ অক্টোবর তাকে আনা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আব্দুল বাসেত বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে স্কয়ার হাসপাতালে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ খাদিজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, সকালে যখন তাকে দেখতে যাই, তখন তাকে পুডিং তরল করে খাওয়ানো হচ্ছিল। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেই। তার শরীরের ডান অংশ সঠিকভাবে নড়াচড়া করলেও বাম অংশে এখনো অবস রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দেয়া হলে শরীরের বাম অংশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটির চার্জশিট ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়ে গেছে। এখন স্কয়ার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার শুরু থেকে বর্ণনাসহ একটি প্রতিবেদন দিলে চার্জশিট আদালতে দাখিল করা যাবে। খাদিজাকে কুপিয়ে জখম করতে কারো মদদ ছিল কি না- জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। বদরুলকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছি। তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি। আমরাও কারো সংশ্লিষ্টতা পাইনি।
গত ৩ অক্টোবর বিকেলে মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম।
খাদিজার ওপর হামলার প্রতিবাদে সিলেটে আন্দোলন অব্যাহত
সিলেট অফিস জানায়, ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিচার দাবিতে ও সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এখনো আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে মাদকবিরোধী সংগঠন জালালাবাদ রিকোভারি গ্রুপ। সংগঠনের সভাপতি শিপলু আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ রিকোভারি গ্রুপের উপদেষ্টা নোমান আহমদ, সহ-সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন জুনেল, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল আহমদ, অর্থ সম্পাদক মহসিন তালুকদার, প্রচার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান শিপন, দপ্তর সম্পাদক আবির হোসেন হাওলাদার, সহ-প্রচার সম্পাদক আফজল আহমদ, সদস্য মনাফ আহমদ, সিরাজ আহমদ, রহিম উদ্দিন, বিপ্লব চৌধুরী, জুম্মান আহমদ, গণেশ কর্মকার, মিজান আহমদ, রাহাত আহমদ, আবেদ আহমদ ও তারেক আহমদ। অন্যান্য সংঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট নিরাপদ সড়ক চাই-এর সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: লোকমান আলী, সিলেট বিভাগীয় ছাত্র পরিষদের সভাপতি বদরুল হোসেন কামরান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খাদিজার ওপর হামলাকারী বখাটে বদরুলের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি না দিলে আরো অনেক খাদিজা এ ধরনের হামলার শিকার হবে এবং সন্ত্রাসী বখাটেরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তাই নরপশু বদরুলের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে সন্ত্রাসী যেই হোক অপরাধ করে পার পাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।