পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বাংলা একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে আজ বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যান্ত গৌরবের। চলতি বাজেটে রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আগামী বাজেটে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার এখন এই সর্বোকৃষ্ট সময়। তাই আমরা চিন্তা করছি, প্রবাসীদের কাছ থেকে ঋণ নেব।”
অর্থমন্ত্রী উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, রিজার্ভের টাকার মূল মালিক আপনারা। আপনাদের টাকা আপনাদেরই থাকবে। আমরা শুধু আপনাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঋণ (রিজার্ভের টাকা থেকে) নেব এবং দেশের উন্নয়নে মেগা প্রকল্পে তা ব্যবহার করব। এসব প্রকল্পের সাফল্য বা অসফলতায় আপনাদের টাকার কোনো ক্ষতি হবে না। যে অর্থ ঋণ নেওয়া হবে তার লভ্যাংশও আপনাদের দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই আজকের এ আয়োজন। আপনাদের এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি আমরা দিচ্ছি, তা একেবারেই সামান্য। প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে এই অর্থের অংশ চোরাচালান, মাদক ব্যবসাসহ জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করা হয়।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’ ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো ২৬ প্রবাসী, বন্ডে বিনিয়োগকারী পাঁচজন এবং চারটি অনিবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজকে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ-আল-মাসুদ, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল-ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আতাউর রহমান প্রধান, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।