পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারে বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ওই বিচারককে এজলাসে না বসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি আরও জানান, বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এই বিচারক পুলিশের উদ্দেশে ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতের এ রায় বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দেয়।
মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন রায়ে। ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা না নিতে বিচারিক আদালতের রায়ের পরামর্শের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ওনার (কামরুন্নাহার) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে এ সম্পর্কিত উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এ নিয়ে বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এ কারণে রোববার প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয় সেই লক্ষ্যে চিঠি লিখছি। এদিকে বিচারিক এখতিয়ার স্থগিতের আদেশ পাওয়ার পর এজলাসে বসেননি বিচারক কামরুন্নাহার।
আদালত সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালতে পৌঁছান বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। আদালতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকাজ শুরু হয়। তবে বিচারকাজ শুরু হওয়ার আগেই খাস কামরায় বসেই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পান তিনি। এরপর আর এজলাসে বসেননি। ট্রাইব্যুনালের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এজলাসে বসার কথা ছিল। বিচারক এজলাস করতে সকালে আদালতে এসে খাস কামরায় বসেন। এরপর প্রত্যাহারের আদেশ পেয়ে এজলাসে বসেননি তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।