Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৭:২৯ পিএম

কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিলমারা, ককটেল বিস্ফোরণ, দফায় দফায় সংঘর্ষ, টেঁটাযুদ্ধ, গুলি ও মারামারির মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। আবার অনেকে ভোট দিতে না পারার ক্ষোভও জানিয়েছেন ফেসবুকে। কেউ কেউ এমন তামাশার নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

সর্বশেষ গতকাল দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৩৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদিন নির্বাচনী সহিংসতায় বিভিন্ন স্থানে নিহত হয়েছেন ৭ জন এবং আহত শতাধিক। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন নির্বাচনী সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

চলমান ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, তাই নির্বাচনী সংঘর্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও তাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘঠিত হয়েছে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তার নিয়েও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের মাঠে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না থাকা সত্বেও কেন ভোট কারচুপির আশ্রয় নিতে হচ্ছে তা নিয়েও ক্ষোভ জনমনে।

ভোট কারচুপি নিয়ে সুমন চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘যেই দিন জনগণের ভোট আত্মসাৎ করে দিনের ভোট রাতের বেলা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সেদিনই জনগণ আওয়ামী লীগের পেটের ভিতরে ঢুকে গেছে এখন আর কিছুই করার নেই। জনগণ আওয়ামী লীগের পেট থেকে বের হতেও পারবে না এদেশের জনগণের দুর্যোগও কাটবে না। অত্যাচারী শাসকরা জনগণের উপরে স্টিমরোলার চালাবে সেটাই স্বাভাবিক সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এখন একমাত্র ভরসা আল্লাহপাকের আল্লাহ্ তোমার কাছে বিচার দিলাম।’’

সোঃ শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘অযথাই নির্বাচন এর নামে নাটকটা করে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে সাংবাদিক নামিয়ে অর্থের জলাঞ্জলি করার কি খুব দরকার ছিলো? এত টাকা দান করলে তাও তো মানবিক খেতাবটা মিলতো।’’

আবির আদনান লিখেছেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে ২৭ জন মারা গেছেন। এই সংখ্যা প্রথম দুই ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকেন্দ্রিক। পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা আর মৃত্যুর সংখ্যা হয়তো সামনে আরও বাড়বে।’’

শাকিলা জান্নাত মজা করে লিখেছেন, ‘‘এটা ভোটের আগেই সবাই জানে যে এদেশে ভোট সবসময় সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর হয়।মাঝেমাঝে একটু ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি,ব্যালট বাক্স-ইভিএম লুট হয়।এগুলো কোন ব্যাপার না।সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হল এখন আর সবাইকে কষ্ট করে লাইনে দাড়িয়ে খুশিতে,ঘোরতে,ঠ্যালায় ভোট দেওয়া লাগে না।’’

আব্দুল্লাহ ইয়ামিন লিখেছেন, ‘‘এটা যদি ভোট দেয়ার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হয় তাহলে বাইডেনের গণতান্ত্রিক সম্মেলনে অবশ্যই নিমন্ত্রণ পাওয়ার যোগ্য ছিল।কারণ বাকি সব দেশগুলোকে ভোট সম্পর্কে ক্লাস করাতে পারতো আর নিজেদের ভোট আয়োজনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারতো।’’

খাইরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনের মাঠে অন্য কোন দল নাই,,,, তারপরও কেন একজন এর ভোট অন্যজনকে দিতে হবে,,,,,,এটাই কি আমাদের গণতন্ত্রের আদর্শ,,,,।’’

জাকির হোসেনের মন্তব্য, ‘‘আওয়ামীলীগ নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে একদম ধ্বংস করে দিয়েছে । আগামী পঞ্চাশ বছরেও এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে মেরামত করা যাবে না।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ