পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা : বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত রাখাইন সম্প্রদায়ের (ওয়াজেপুয়েই রি সিমি) কল্প মন্দির উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
শহরের রিজার্ভ বাজার চেঙ্গী মুখ জলযান ঘাটে অনুষ্ঠিত এ ওয়াজেপুয়েই রি সিমি মন্দির উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন আসামবস্তি ধর্মচক্কর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বায়াবংশ মহাথেরো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাখাইন জনকল্যাণ সমিতির রাঙ্গামাটির সাধারণ সম্পাদক উচিংছা রাখাইন কায়েস। অনুষ্ঠানে উৎসব কমিটির আহ্বায়ক রাহ্লামং থোয়াই রাখাইন (বাবু)র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মংপুরি রাখাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়ামং রাখাইন, সদস্য মংপ্রু রাখাইন। (ওয়াজেপুয়েই রি সিমি) কল্প মন্দির উৎসবে রাখাইন সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ওয়াজেপুয়েই রি সিমি’র কল্প মন্দিরটি ভাসমান কাপ্তাই হ্রদে একটি লঞ্চে বেঁধে হ্রদ ঘেঁষে গড়ে উঠা বিভিন্ন মন্দির প্রদক্ষিণ করে বড়াদম বনভান্তের স্মৃতি স্তম্ভ মোড়ঘোনা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মালোচক ও পঞ্চশীল প্রার্থনা দেন আসামবস্তি ধর্মচক্কর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বায়াবংশ মহাথেরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ আশ্বিনী পূর্ণিমায় তার মাথার চুল আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার সম্মান রেখে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আকাশে ফানুস উড়ায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখাইন জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক উছিংচা রাখাইন কায়েস বলেন, রাখাইন সম্প্রদায় এ প্রথম রাঙ্গামাটিতে জাঁকজমকভাবে এ আশ্বিনী পূর্ণিমা পালন করছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে এ উৎসব পালন করা হবে। তিনি এজন্য রাখাইন সম্প্রদায়সহ সকল বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।