Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণমাধ্যমের যে অধিকার আছে, এনজিওর সেটা নেই : সুরঞ্জিত

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, গণমাধ্যমের যে অধিকার আছে, এনজিওর সেটা নেই। ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন নাগরিকের জন্য। এনজিও এখানে অনেক ইনফিরিওয়র।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। বিদ্বেষমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের বিধান রেখে সংসদে পাস হওয়া আইনের বিরোধিতার সমালোচনা করেছেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমের যে অধিকার আছে, এনজিওর সেটা নেই। ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন নাগরিকের জন্য। এনজিও এখানে অনেক ইনফিরিওয়র।
গত ৫ অক্টোবর বিলটি পাসের পর এনজিওগুলোসহ তাদের অর্থায়নকারী বিভিন্ন দেশের অব্যাহত সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত।
গত বছর সংসদকে নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের এক বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ জানানোর পর প্রক্রিয়াধীন ওই আইনে বিদ্বেষমূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের জন্য নিবন্ধন বাতিলের ওই ধারাটি যুক্ত করেছিল সুরঞ্জিত নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি। ওই ধারাটিসহ আইনটি (বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৬) গত ৫ অক্টোবর সংসদে পাস হয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছেÑ কোনো এনজিও বা ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে এবং সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বা অশালীন মন্তব্য করলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
আইন অমান্য করলে যেকোনো সময় নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা যাবে। এনজিওতে বিদেশী উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে। এই আইন পাস হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত বলেন, একটা সার্বভৌম সংসদকে তো কোনো ফরেন বডি গালি দিতে পারে না। তাহলে সার্বভৌমত্ব থাকে না। পৃথিবীর কোথাও এটা নেই। কাজ করতে হলে এ আইনের অধীনে করতে হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এনজিও সাধারণ আইনের দ্বারা জন্ম নিয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমকে সংবিধানের অধীনে একটা আইনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তোমরা (গণমাধ্যম) বলতে পার। তোমাদের মানবাধিকারের প্রটেকশন আছে। কোনো ফরেন বডির তো সেটা নেই। একজন নাগরিক মত প্রকাশ করে অনেক কথা বলবে। সেটা তার অধিকার। এনজিও আইনের অধীনে কাজ করবে। যদি বিরোধী দলের মতো কথা বলতেই হয় তাহলে অপজিশনে যাও।
সংসদে পাস হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নতুন কোনো আইন না। ’৭৮ সালে একবার ও পরে ’৮২ সালে মার্শাল ল’ দিয়ে এটা করা হয়েছিল। সেটাকেই আমরা নতুন কিছু করেছি।
নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ‘বিভ্রান্তমূলক’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ তথ্য প্রচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুরঞ্জিত।
তিনি বলেন, কয়েক দিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন পত্রিকাসহ নানা জায়গায় আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবেশিত কিছু তথ্য আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আমার প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন আবার কোনোটিতে বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য আছে বলে আমার মনে হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণমাধ্যমের যে অধিকার আছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ