Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের আদলে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বৈধপথে যাওয়া যেতে পারে ভারত

ই-টোকেন ছাড়াই ২২ অক্টোবর ভারতীয় ভিসা পাবে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ই-টোকেন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দেয়া হবে ভারতীয় ভিসা। সেই সাথে মিয়ানমারের সঙ্গে চালু থাকা ‘শর্ট ট্রাভেল পারমিট’ এর আদলে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বৈধপথে ভারতে যাবার পদ্ধতি চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে বিষয়টি খুবই জটিল হওয়ায় দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের ই-টোকেন ছাড়া আগামী ২২ অক্টোবর ভারতীয় ভিসা দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আগামী শনিবার (২২ অক্টোবর) কোনো ই-টোকেন বা আগাম অনলাইন সাক্ষাৎসূচি ছাড়াই উল্লিখিত শিক্ষার্থীরা সরাসরি উপস্থিত হয়ে ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওই দিন সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (বাড়ি #১২, সড়ক # ১৩৭) এই সুবিধা মিলবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের দেয়া মূল পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহজে ভারতীয় ভিসা পাবার সুবিধা দেয়া এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় করতে সৌজন্যমূলকভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন।
এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট-ভিসা না থাকলেও এখন ভারতে যাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত কর্তৃপক্ষ। মানবিক কারণে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে চালু থাকা ‘শর্ট ট্রাভেল পারমিট’ এর আদলে এ পদ্ধতি খুব শিগগিরই ভারতের সঙ্গেও চালু হবে বলে আশাবাদী বিজিবি।
‘শর্ট ট্রাভেল পারমিট’ পদ্ধতি চালু হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ ছোটখাট অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলেও মনে করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চলতি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ এর ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে আরও আলোচনার বাকি আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে ‘শর্ট ট্রাভেল পারমিট’ নামে স্বল্প সময়ের জন্য এপার-ওপারের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা চালু রয়েছে। ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টা কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি সময়ের জন্য স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ‘শর্ট ট্রাভেল পারমিট’ নিয়ে দু’দেশের সীমান্ত সংলগ্ন অধিবাসীরা এপার-ওপারের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও ঘোরাফেরা শেষে ফিরে যায় এবং ফিরে আসে। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ সীমান্ত এলাকা জুড়েই ভারত। তাই ভারতের সঙ্গে এ পদ্ধতি চালু থাকা খুবই জরুরি। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেই দুই দেশের নীতি নির্ধারকরা এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। খুব শিগগির এ বিষয়টিরও সমাধান হবে বলেও আশাবাদী তারা। তবে বিষয়টি খুবই জটিল হলেও দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • Jamal ১৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:২০ এএম says : 0
    it is a very good news for us
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমারের আদলে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই বৈধপথে যাওয়া যেতে পারে ভারত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ