পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার নওদাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলি ও ককটেল হামলায় ৪ জন বাংলাদেশী যুবক আহত হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এনিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফ উভয় পক্ষ টহল জোরদার করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ আলম জানান, ওই এলাকার নওদাপাড়া গ্রামের ১২/১৩ জন যুবক সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৬৩ ও ১০৬৪-এর মাঝামাঝি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে যায় ভারতীয়দের পাচার করে দেয়া গরু আনতে। এ সময় ভারতের কুচনিমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪/৫ রাউন্ড গুলি ও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলে আহত হয় আনোয়ার হোসেনের পুত্র সাজু মিয়া (১৮), রেজাউল করিমের পুত্র রোকন উদ্দিন (২২), ফলুয়া করিমের পুত্র বাবলু মিয়া (২০) ও রূপচান্দের পুত্র মানিক (১৭)। আইনী জটিলতা এড়াতে সঙ্গীরা তাদের উদ্ধার করে গোপনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে মঙ্গলবার সকালে। এ ঘটনায় ওই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গুলিবিদ্ধ রোকনের পিতা রেজাউল করিম বলেন, তার পুত্র বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এর বেশী জানাতে রাজি হননি।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সালু জানান, কাঁটাতারের উপর দিয়ে বিশেষ ধরনের মই বানিয়ে গরুকে বেঁধে ভারতীয় পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা ওই গরু নিয়ে আসে। পরে কাস্টমস-এর কাছ থেকে পশু প্রতি ৫০০টাকা ফি দিয়ে করিডোর করে বৈধ করে নেয়। এই বিষয়গুলো সকল মহল জানলেও গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ টহল জোরদার করেছে।
এ ঘটনায় বিজিবি’র বাংলাবাজার বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু শহীদ বলেন, ঘটনা জানার পর থেকে ওই সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
রৌমারী সদর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, গোলাগুলির অভিযোগ শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।